নবমীতে যেভাবে সাজাবেন নিজেকে
প্রকাশিত : ২২:১৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৫০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
পূজার সাজে এখনো গরদের আবেদন আছে। শাড়ি পরার ঢংটা পুরোনো কিন্তু সাজে রয়েছে নতুনের ছোঁয়া। আর নবমী তাই সাজ হবে একট অন্যরকম। দিনের এবং রাতের বেলায় চাই ভিন্ন ছোঁয়া, ভিন্ন পোশাক।
সাধারণত দিনের বেলায় সাজে ‘ন্যাচারাল লুক’ধরে রাখাটাই বেশি জরুরি। দিনে মন্দিরে অঞ্জলি দেওয়ার সময় প্রকৃতির সজীব ভাবটা চাই সাজে। এদিন আপনি চাইলে যে কোনো রংয়ের শাড়ি পরতে পারেন।
দিনের উৎসবে ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বা ফাউন্ডেশন হালকা করে লাগাতে পারেন। এটি হালকা করার জন্য এতে কিছুটা পানি মিশিয়ে নিন। এবার খুব অল্প পরিমাণে লাগিয়ে পাউডার বুলিয়ে নিন। মেকআপের শুরুতে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেই সানস্ক্রিন লোশন লাগাবেন।
পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চোখে আইশ্যাডো লাগান। আপনি চাইলে ঠোঁটে হালকা রঙ এর লিপস্টিকের সঙ্গে হালকা ব্রাউন রংয়ের ব্লাশন লাগাতে পারেন। এবার কপালে বড় লাল টিপ দিন। চাইলে পায়ে মোটা করে আলতা পরতে পারেন।
সোনার পাশাপাশি রুপার গয়নাও জলজল করবে পূজার নবমীর সাজে। একটা সুতি শাড়ি পরে এ ধরনের একটি বালা পরে নিতে পারেন। পূজার সময় গরমে আরামের পাশাপাশি অন্যের চোখে স্নিগ্ধতা দেবে এ ধরনের সাজ। বের হওয়ার আগে ভালো মানের পারফিউম ব্যবহার করতে পারেন। আপনার চুল সামনের দিকে সেট করে পিছনে খোপা করে রাখুন। আর কানের পিছনে কিছু ফুল গুজে দিন, এতে সজীব লাগবে।
রাতের সাজ : নবমীতে সান্ধ্য পূজা হয়। তাই সাধারণত সন্ধ্যার পরই মন্দিরে যান সবাই। সন্ধ্যা হওয়ার কারণে এদিন সবাই জমকালো সাজে সাজেন। ভারি গয়না, রং-বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক, ভারী মেকআপ, চুলের সাজ, তাজা ফুল এদিন রাতের সাজের অনুষঙ্গ। তাছাড়া বেত, বাঁশ বা কাপড়ের গয়না তো এখন বেশ চলছে।
এ ধরনের উপাদানের বালা তিন থেকে চারটি হাতে জড়ালে সাজে আসবে উৎসবের আমেজ। আর মেকআপ করার জন্য ফাউন্ডেশন দেওয়ার আগেই প্রাইমার লাগিয়ে নিন। কনসিলার আপনার মুখের দাগ, চোখের নিচের কালি ঢেকে দেয়।
ঠোঁটে গাঢ় রঙ এর লিপস্টিক, কপালে শাড়ীর রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা বড় লাল টিপ লাগান। আর বিবাহিতরা সিঁথিতে সিঁদুর এর সঙ্গে ভারি গয়না পরে পারফিউম ব্যবহার করুন। শাড়ির সঙ্গে চুলের সাজ হতে পারে ব্লো আইরন, কারলিং, স্পাইরাল রিং, রিং বান, ফ্রেঞ্চ বেণী অথবা খোপা।
আর/ডব্লিউএন