শরীর-মনের পরস্পরিক সম্পর্ক
প্রকাশিত : ১৪:১৮, ১১ অক্টোবর ২০১৭
শরীর ও মনের মধ্যে একটি যোগসূত্র আছে। যদিও আমরা অনেকেই মনে করি মন ও শরীর দুটি আলাদা স্বত্ত্বা। কিন্তু একটির আরেকটির সঙ্গে রয়েছে সম্পর্ক । যার কারণে একটি আরেকটির উপর প্রভাব বিস্তার করে। শারীরিক অবস্থা মানসিক অবস্থার ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে সেটি বুঝতে নিচের কয়েকটি উদাহরণ -
খাবার
একটি গবেষণা দাবি করেছে যে,আমরা যে খাবার খাই তা আমাদের মেজাজ ও আচরণের উপর প্রভাব ফেলে । এছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার যদি বেশি খাওয়া হয় তাহলে মানসিক সমস্যা যেমন-বিষন্নতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া পুষ্টির অভাবে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে । উদাহরণ স্বরূপ আমরাদের খাবারে যদি ওমেগা-৩ ফেটি এসিড এবং পুষ্টি পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকে তাহলে তা বিষন্নতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
পানি
পানিশূণ্যতা মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। শরীরে যদি পর্যাপ্ত পানি না থাকে তাহলে আপনি কোনো বিষয়ের উপর গভীর মনোযোগের দিতে পারবেন না। এমনকি পানি শূণ্যতা আপনার রাগ এবং বিষন্নতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
শারীরিক কার্যাবলি
শারীরিক কাজও আপনার মনের উপর প্রভাব ফেলবে । আপনি যদি ব্যায়ম করেন তাহলে আপনার মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করবে এবং উৎসাহ দেবে।
ঘুম
যারা পর্যাপ্ত ঘুমাতে ব্যর্থ হয় তারা নেতিবাচক চিন্তাভাবনার শিকার হতে পারে। এমনকি অপর্যাপ্ত ঘুম মানসিকভাবে ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে সরাসরি অবস্থা মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। এছাড়া প্রর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে উদ্বিগ্নতা, বিষণ্নতা বেড়ে যায় এবং মানসিক অবস্থার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
ড্রাগ এবং অ্যালকোহলের প্রভাব
ধূমপান এবং এ্যালকোহল জাতীয় পানীয় মানসিক অবস্থার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে । এটা এমন একটি অভ্যাস, যা মন ও শরীর মধ্যে একটি বিরুপ প্রভাব ফেলে।
জ্বর
আপনি জ্বরের সময় মন ও শরীরের সঙ্গে সম্পর্ক উপলব্ধি করতে পারবেন। অধিক জ্বরের সময় নিজেকে একাকিত্ব, দু:খিত ভাব এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মনে হতে পারে । এতে বুঝা যায় মন ও শরীরের উপর একটি সম্পর্ক রয়েছে ।
সম্পর্ক
পরিবার,আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবে সঙ্গে যদি ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় তাহলে মানসিকভাবে প্রশান্তি আসে এবং সুস্থ থাকা যায়। কিন্তু সম্পর্ক যদি ভালো না হয় তাহলে তা মানসিকভাকে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে ।
সূত্র:বোল্ড স্কাই
এম/এআর