পা থেকে মাথা পর্যন্ত উপকারী কারি পাতা
প্রকাশিত : ২২:৫২, ১১ অক্টোবর ২০১৭
বাঙালি রান্নাতে মাঝে মাঝে কারি দেখা গেলেও নানা গুণে ভরপুর কারি পাতা। খাবারের স্বাদ তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে শরীরের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কারি পাতা। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কারি পাতা এক কথায় মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই নয়, একাধিক মারণ রোগকে দূরে রেখে আয়ু বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তাই সুস্থ-সুন্দর জীবন যদি পেতে চান, তাহলে কারি পাতাকে নিত্য সঙ্গী বানান।
অ্যানিমিয়া থেকে দূরে রাখে
কারি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড এবং আয়রন। তাই এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কনিকার মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বেশিদিন মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগই পায় না। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে একটা খেজুরের সঙ্গে ২ টা কারি পাতা খেলেই উপকার মেলে।
লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
প্রায় প্রতিদিনই কি অ্যালকোহল সেবন করেন? তাহলে তো নিয়মিত কারি পাতা খাওয়াও জরুরি। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্ষতিকর টক্সিনের হাত থেকে লিভারকে রক্ষা করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে লিভারের উপর অ্যালকোহলের কুপ্রভাবও পরে কম। এক কাপ কারি পাতার রসে এক চামচ ঘি, অল্প পরিমাণে চিনি এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে কারি পাতা
খাবারে দিয়ে প্রতিদিন কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এখানেই শেষ নয়, কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবারও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
হার্ট ভালো রাখে
কারি পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে এলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না।
সম্প্রতি জার্নাল অব চাইনিজ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে, কারি পাতা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে ভালো কোলেস্টরলের পরিমাণও বাড়তে শুরু করে। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পুঁথিতে উল্লেখ পাওয়া যায়, কারি পাতায় উপস্থিত ল্যাক্সেটিভ প্রপাটিজ শুধু যে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, তা নয়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদনদেরও বের করে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে। তাই যারা প্রায়শয়ই বদ-হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাদের কারি পাতাকে সঙ্গী বানানো মাস্ট!
ত্বকের সংক্রমণ কমায়
শুনে অবাক হচ্ছেন? কারি পাতায় উপস্থিত শক্তাশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ যে কোনো ধরনের স্কিন ইনফেকশন কামতে দারুন কাজে লাগে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই।
ডব্লিউএন