যে ৭টি বিষয় দিয়ে আপনার সঙ্গিনীকে বিচার করবেন না
প্রকাশিত : ২১:৩১, ৩০ নভেম্বর ২০১৭
মানুষ হিসেবে আমরা কেউই ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। তাই আমাদের সুখের সাজানো সম্পর্কগুলো মাঝে মাঝেই নষ্ট হয়ে যায় সামান্য কিছু ভুলের জন্য। তবে আপনার বান্ধবী অথবা স্ত্রী, যেই হোক না কেন সঙ্গিনীর সাথে মধুর সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে এই ৭টি বিষয় দিয়ে তাকে বিচার করবেন না।
১. অতীতের সম্পর্ক
আপনার সঙ্গিনীর পূর্বে এক বা একাধিক সম্পর্ক থাকতেই পারে। এমনকি সে বিবাহিতও হয়ে থাকতে পারেন। তার আগের এসব সম্পর্ক থাকা বা না থাকার সাথে আপনার প্রতি তার বিশ্বস্ততা নির্ভর করে না। আপনি যেহেতু তার অতীত জেনেই তার সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়েছেন সেহেতু তার অতীত সম্পর্ক নিয়ে তাকে বিচার করবেন না। বর্তমানে আপনার প্রতি তার অনুভূতি কেমন এটাই আপনার জন্য মুখ্য হওয়া উচিত।
২. সতীত্ব
অনেক নারীবাদীরাই মনে করেন, নারীদের আনুগত্য তার সতীত্বের ওপর নির্ভর করে না। জীবনের প্রথম দিকে অনেকেই আমরা অনেক ভুল করে থাকি। আপনার সঙ্গিনীও তেমন ভুলের শিকার হয়ে থাকতে পারেন। আপনার পূর্বে অন্য কারও সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু এর মানে এই না যে, আপনি প্রতারণার শিকার। তাই তার পূর্ব শারীরিক সম্পর্কের অভিজ্ঞতা দিয়ে তাকে বিচার করা যাবে না।
৩. নিজস্ব সময়
আপনার সঙ্গিনীকে তার মত করে সময় কাটাতে দিতে হবে। তাকে তার নিজস্ব সময় বলয়ে থাকতে দিতে হবে। অনেক সময়ই আপনার বান্ধবী বা স্ত্রী তার দৈনন্দিন জীবন থেকে খানিকটা বেরিয়ে নিজের মত করে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। অনেক সময় স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু বা বান্ধবীর সাথে ঘুরতে যেতে পারেন তিনি। তাকে সেই সুযোগটা দিতে হবে। তিনি তার নিজের মত করে আছেন এর মানেই এই না যে, তিনি আপনার থেকে বিমুখ।
৪. বাবা-মা
অনেক সময়ই দেখা যায় যে, স্ত্রীর বাবা-মা এর সাথে স্বামীর সম্পর্ক ভালো নয়। অথবা স্ত্রী তার বাবা-মা এর সাথে সময় কাটাচ্ছে এমনটা পছন্দ করেন না অনেক স্বামীই। এমনটা করা উচিত হবে না। কারণ আপনার বাবা-মা এর সাথে যেমন সম্পর্ক রাখতে আপনি পছন্দ করেন তেমনি আপনার স্ত্রীও তার বাবা-মা এর সাথে সম্পর্ক রাখতে পছন্দ করেন। তাই আপনার সঙ্গিনী যদি তার বাবা-মা’র সাথে সময় কাটান তবে এ নিয়ে অভিমান করবেন না যেন!
৫. ব্যক্তি স্বাধীনতা
সম্পর্ক হচ্ছে একটি সাইকেলের মত। যার দু’টি চাকা ঠিক থাকলেই সাইকেলটি চলবে। একটি চাকাও যদি অচল থাকে তাহলে কিন্তু সাইকেল চলবে না। তাই আপনার সঙ্গিনীর স্বাধীনতার প্রতি আপনাকে সম্মান দিতে হবে।
জীবনসঙ্গীকে তার সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে। বর্তমান যুগের নারীরা অনেকটাই স্বাধীনচেতা। তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পছন্দ করেন। আপনার সঙ্গিনী সিদ্ধান্ত নিবে এর মানে এই না যে, আপনি তার অধঃস্তন বা আজ্ঞাবহ। বরং কিছু কিছু বিষয়ে আপনার সঙ্গিনী আপনার থেকেও যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন। কারণ জানেন তো, পরিণত সিদ্ধান্ত নেবার বিষয়ে নারীদের সুনাম আছে!
৬. সঙ্গিনীর আয়
নারীরা এখন শুধু শিক্ষিত হয়ে ঘরেই বসে থাকে না। বরং তারা এখন কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। নিজের খরচের পাশাপাশি পরিবারের খরচেও অংশ রাখতে পছন্দ করেন অনেক নারীই। এটিকে আবার নেতিবাচকভাবে দেখার এক প্রবণতা আছে অনেক পুরুষতান্ত্রিক সমাজে। তবে সময় এখন দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর। অনেকেই মনে করেন, নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সংসার ভাঙ্গার অন্যতম কারণ। আবার অনেকে মনে করেন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারী তার সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন না। এসব মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী নারী মানে আপনি তার দাস না। বরং দুইজন মিলে হতে পারেন একে অপরের পরিপূরক।
৭. সংসারের কাজগুলো মিলেমিশে করুন
নারীদের কর্মের কথা যেহেতু আসলই তাহলে বুঝে নিন বর্তমান সময়ে সংসারের কাজগুলো নিজেদেরকে মিলেমিশেই করতে হয়। সংসার এখন আর কারও একার নয়। তাই এর দায়িত্বগুলোকেও এখন সবাইকে ভাগ করে নিতে হয়। কোনো দিন আপনার সঙ্গিনী ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরলে কাজগুলো ভাগাভাগি করে নিন। ঘরের কাজ শুধু মেয়েদেরই-এমনটা কখনোই ভাববেন না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসএইচএস/টিকে