বিয়েতে শাড়ির ধরন কেমন হবে
প্রকাশিত : ১১:১২, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১১:১৯, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮
বাঙালি নারীর সৌন্দর্যের ভূষণ হচ্ছে শাড়ি। কালো হোক ফর্সা হোক সব নারীকেই শাড়িতে বেশ লাগে। সবসময় শাড়ি পরা সম্ভব হয়ে উঠে না অনেকের। তবে বিয়েতে পোশাকের মেনুতে শাড়ি বাধ্যতামূলক বলা যায়।
প্রাচীনকালে বিয়ের কনের শাড়ি মানেই লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ি। কিন্তু বর্তমানে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে শাড়ির ধরনও পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিয়ে শুরু হয় এনগেজমেন্ট থেকে। বিয়ের কনের এনগেজমেন্ট, গায়ে হলুদ, বিয়ের দিন, বউভাত এই সব উৎসবগুলোতে শাড়ির রঙ ও ধরন হয় ভিন্ন।
বিয়ের কনের গায়ের রঙ শ্যামলা বা কালো হলে একটু গাঢ় রঙের শাড়ি বেঁছে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন ব্লাড রেড, গাঢ় নীল বা গাঢ় গোলাপি। পেঁয়াজ বা বেগুনি রঙের শাড়ি মানিয়ে যাবে সবাইকে। তবে যদি উচ্চতা কম হয় তাহলে বেঁছে নিতে হবে সরু পাড় বা পাড় ছাড়া শাড়ি। উচ্চতা ভালো হলে চওড়া পাড়ের শাড়ি পরা উচিত। কনের গড়ন হালকা শুকনো হলে ভারী শাড়ি পরতে হবে। শাড়িটি হতে পারে টিস্যু বা মসলিনের তবে ভারী কাজের। আর যদি ভারী গড়নের হয় তাহলে সফট ম্যাটেরিয়ালের গাঢ় রঙের শাড়ি পরতে হবে। যেমন শিফন বা জর্জেট।
বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের শাড়ির ধরন কেমন হবে তা একুশে টিভি অনলাইনে তুলে ধরা হলো-
এনগেজমেন্ট দিনে-
আগের দিনে এনগেজমেন্ট ঘরোয়া ভাবে হতো। তবে এখন বেশ ঘটা করেই করা হয়। তাই এ সময়েও বেশ সাজগোজের আয়োজন থাকে। এনগেজমেন্টের দিনে হালকা কাজের শাড়ি বেছে নেওয়াই উত্তম। হতে পারে মসলিন, শিফন, সফট সিল্ক, ক্রেপ জর্জেট। রঙ হতে পারে নীল, গোলাপি, পিচ, লাইট কালার ইত্যাদি।
গায়ে হলুদের দিনে-
গায়ে হলুদে সুতি শাড়িই সবচেয়ে মানানসই। কেননা এই দিনে হলুদের ছোঁয়া কনের গায়ে লাগানো হয়। তবে সুতি শাড়ির পাশাপাশি এখন চলছে টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক বা সফট সিল্ক। এছাড়া জামদানিও রয়েছে। জামদানি বা সুতি শাড়িতে নিজের পছন্দ মতো পাড় লাগিয়ে আরও উন্নত করে নেওয়া যায়। দেখতে গর্জিয়াস লাগবে। গায়ে হলুদের দিনে হলুদ শাড়িই পরানো হয়। এর পাশাপাশি কমলা, গাঢ় সবুজ, কাচাঁ মেহেদি, হালকা বেগুনি চলছে এখন।
বিয়ের দিনে-
বিয়ে বললেই যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে লাল টুকটুক শাড়ি। বিয়েতে তাই বেশিরভাগই বেঁছে নেওয়া হয় লাল শাড়ি। একেবারেই লাল পরতে না চাইলে আছে মেরুন, জাম, গাঢ় নীল, বেগুনি বা গোলাপি। বর্তমানে বিয়ের দিন সবচেয়ে বেশি চলছে জামকাল শাড়ি। এছাড়া হতে পারে বেনারসি, কাতান, টিস্যু বা মসলিন। এর বাইরে জরির কাজ করা শাড়ি, সিকোয়েন্সের ভারী কাজ, অ্যামব্রয়ডারি, মুক্তা বা কুন্দনের কাজ এসব শাড়িও বেঁছে নেওয়া যেতে পারে।
বৌভাতের দিনে-
বিয়ের পরের দিনেই বৌভাত। বৌভাতে বেঁছে নিতে পারেন ফ্যাশনেবল, ট্রেন্ডি হালকা কাজ করা শাড়ি। রঙ হতে পারে গোল্ডেন, সফট পিংক, পিচ এমনকি সাদা। অনেকেই এখন বৌভাতে সাদা পরতে পছন্দ করেন, এমনকি বিয়েতেও। বৌভাতে ভালো লাগবে সিফন, মসলিন আর হালকা কাজের জামদানি। সঙ্গে বেঁছে নিন কন্ট্রাস্ট ওড়না। সাদার শুভ্রতা আপনাকে অনন্য করে তুলবে।
তথ্যসূত্র : রূপচর্চা।
/কেএনইউ/এসএইচ