কৃমি প্রতিরোধে সুপারি
প্রকাশিত : ১৫:৩৯, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮
পানের সঙ্গে সুপারি চিবিয়ে খান না, এমন মানুষ পাওয়া ভার। তবে সুপারির যে ওষুধি গুণও আছে তা কি আমরা জানি? তাহলে আর দেরি নয়, চলুন জেনে নিই সুপারির কি কি ওষুধি গুণ রয়েছে-
১. গুড়াঁ কৃমির উপদ্রব দেখা দিলে ৪ গ্রাম সুপারি পিষে গুড়ো করে নিতে হবে। এরপর ৩ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এক কাপ পরিমাণ হওয়ামাত্র ছোলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ছেঁকে তা সকাল-বিকাল দুইবার খেলে এ রোগের উপশম হবে।
২. উপযুক্ত পরিমাণ সুপারির সঙ্গে বেলশুট (কাঁচা বেল শুকিয়ে চূর্ণ করা) এক গ্রাম মিশিয়ে দুই বেলা খেলে রক্ত আমাশয় সেরে যায়।
৩. পেটে অজীর্ণের ক্ষেত্রে উক্ত পদ্ধতিতে সুপারির ক্বাথ তৈরী করে দিনে দুইবেলা খেলে সেরে যায়।
৪. ঘা পচে দুর্গন্ধ হলে এবং ওই ক্ষতস্থান থেকে বিশ্রি স্রাব নির্গত হলে কাঁচা সুপারি ভালভাবে শুকিয়ে খোসাসহ থেঁতো করে তা মিহিচূর্ণ ঘায়ে লাগালে ঘা যেমন শুকিয়ে যাবে, তেমনি দুর্গন্ধ ও দুর হবে।
এবার আসুন জেনে নিই সুপারির পরিচিতি- সুপারি গাছ বেশ শক্ত,সরু ও লম্বা, নারিকেল গাছের মত শাখা-প্রশাখাহীন গাছ। লম্বায় সচরাচর ৮/১০ মিটার হলেও অনেক ক্ষেত্রে ২০-২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। নারিকেল পাতার মত পত্রদন্ডের পরস্পর বিপরীত দিকে পত্রুগুলো থাকে এবং লম্বায় ৫০-৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়।
আর পত্রদন্ড লম্বায় ২/৩ মিটার পর্যন্ত হতে দেখা যায়। পুষ্পদন্ড ও প্রায় নারিকেলের পুষ্পদন্ডের মত (বহু শাখা -প্রশাখা) বিভক্ত পুষ্পমঞ্জরী সম্পন্ন। প্রতিটি মঞ্জরীর গোড়ায় ৩৫০ স্ত্রী ও আগায় প্রায় ৪৮০০০ পুরুষ ফুল থাকে। ফল (সুপারি) কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকা অবস্থায় গাঢ় হলুদ বা কমলা রং ধারন করে।
সূত্র: বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া ( লেখক: ড. তপন কুমার দে)
এসইউএ/ এমজে