সঙ্গীর মন পেতে যা করবেন
প্রকাশিত : ১১:৪৪, ৬ মার্চ ২০১৮
দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে কে না চায়। তবে নানাবিধ কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হয় না। একপর্যায়ে বিচ্ছেদের মতো ঘটনাও ঘটে। এমনকি প্রেম করে বিয়ে করার পরও এমনটি হয়ে থাকে।
এই বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় নারী-পুরুষ উভয়ই দায়ী। একটু ধৈর্য ও কৌশলী হলে দাম্পত্য জীবনে সুখ ধরা দেয়। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন দুজন দুজনকে বোঝা।
অনেক নারী বুঝে উঠতে পারেন না কেমন করে সঙ্গীর মনের রানি হওয়া যায়। কিভাবে স্বামীর মন রক্ষা করে চলা যায়। সঙ্গীকে বুঝতে পারলে হবে আপনার সুখের সংসার।
আসুন জেনে নিই কীভাবে হবেন স্বামীর মনের রানি।
সঙ্গীকে বুঝুন
স্বামীর সঙ্গে সব সময় ভালো আচারণ করুন। স্বামীর ঘরে ও বাইরের সমস্যাগুরো বোঝার চেষ্টা করুন। কখনো অকারণে রাগ দেখাবেন না। তাকে বিরক্ত করার চেষ্টা করবেন না। সবকিছু নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করুন।
বিশ্বাসের বন্ধন দৃঢ় করুন
সংসারে সুখী হতে হলে স্বামী-স্ত্রী উভয় নিজের মধ্যে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। কারো মনে অবিশ্বাস ভর করলে সংসার টিকবে না।
বিশেষ দিনে উপহার
বিশেষ দিনের উপহার কে না পছন্দ করে বলেন। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধন দৃঢ হয়। বিশেষ দিন যেমন বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিনে স্বামীকে পছন্দের উপহার দিন।
মেলামেশা
ব্যস্ততা ও দুশ্চিন্তার কারেণে একটা সময় দৈহিক সম্পর্কটার আবেদন কমে আসে। এটিও দাম্পত্য সুখ নষ্টের জন্য দায়ী। হয়তো স্বামী আপনাকে একান্তে চাইছেন কিন্তু আপনি সঠিক সাড়া দিচ্ছেন না। এমনটি হলে সুখ জানালা দিয়ে পালাবে।
সাজগোজ
পুরুষরা সব সময় নারীদের সুন্দর পোশাক ও সাজগোজে দেখতে পছন্দ করে। তাই সারা দিন যতই ব্যস্ত থাকুন, রাতে ঘুমানোর আগে নিজেকে গুছিয়ে নিন। এছাড়া সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন।
ভুল ক্ষমা করা
সংসারে অনেক ভুলবোঝাবুঝি ও সমস্যা হতেই পারে। তাই স্বামী কোনো ভুল করলে তাকে খোলামেলা বলেন এবং মীমাংসা করে নেন। ক্ষমা মহৎ গুণ।
পছন্দের খাবার রান্না
ছেলেরা বেশির ভাগ সময় বাইরে কাটায়। তাই সব বেলা তার ঘরে খেতে পারে না। তাই স্বামীকে খুশি রাখতে তার পছন্দের খাবার নিজের হাতে রাধুন। দেখবেন তিনি অনেক খুশি হবেন।
অহেতুক চাহিদা নয়
আপনার চাহিদা থাকবে। তবে সেটি যেন স্বামীর সামর্থ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। অনেক সময় চাহিদা ও সামর্থ্যের মিল না থাকলে দাম্পত্য সুখ থাকে না।
ঘুরতে যাওয়া
স্বামীর ছুটির দিনে তাকে নিয়ে তার পছন্দের স্থানে ঘুরে আসুন। দেখবেন ছোটখাট ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়ে যাবে।
সূত্র : জিনিউজ।
/এআর/