পুরুষের যেসব বিষয় পছন্দ নারীদের
প্রকাশিত : ১৬:৪৩, ৪ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৫২, ৪ এপ্রিল ২০১৮
সাধারণত পুরুষের ধারণা টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম এই তিনটি গুণ হলেই সে যে কোন নারীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু বর্তমান ফ্যাশনের নিরিখে নারীদের ক্ষেত্রে পুরুষের সেই ধারণায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
মনের মানুষটি চকোলেট বয় হোক কিংবা মাচো ম্যান, নারীদের জন্য সেসবই হল গৌণ্য। আসলে পুরুষদের অন্য কয়েকটি বিষয়ই মহিলাদের বেশি আকর্ষণ করে। জেনেনিন সেই বিষয়গুলো :
পোশাক নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়
গার্লফ্রেন্ডকে নিজের পছন্দের মতো পোশাক পরতে দিন। যদি সেই পোশাকের প্রশংসা করতে পারেন তাহলে খুবই ভালো। তবে ভুল করেও নাক সিঁটকোবেন না। অনেক পুরুষেরই পোশাক নিয়ে নানান অভিযোগ থাকে। যা মেয়েদের একেবারেই পছন্দ নয়।
নারীর পেশাককে সম্মান করুন
আজকালকার মহিলারা পরনির্ভরতায় বিশ্বাসী নন। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাধীনভাবেই বাঁচতে ভালোবাসেন। তাই পড়াশোনা, খেলাধুলো বা মডেলিং করে মনের মতো পেশাটি বেছে নন। প্রতিযোগিতার বাজারে একটি চাকরি পেতে কিংবা ব্যবসা করতে যথাসম্ভব পরিশ্রমও করেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা আশা করেন সঙ্গীটি তাঁর পেশার প্রশংসাই করবেন। তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাও করবেন। কর্মক্ষেত্রে কীভাবে আরও উন্নতি করা যাবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। কোনও পুরুষ ঠিক যেমন নিজের পেশাকে ভালোবাসেন, তেমনই গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীর পেশাকেও সম্মান করবেন।
আবেগপ্রবণ হতে দ্বিধা করবেন না
এমন কোনও স্পর্শকাতর বিষয়, যা হয়তো আলোচনা করতে গিয়ে আপনার চোখে জল চলে আসতে পারে। আসলে আসুক। লজ্জা পাবেন না, প্রিয়জনের থেকে তো কিছু লুকোনোর নেই। তাই আপনি যদি পার্টনারের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেন আর তাতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, তাতে খুশিই হবেন আপনার প্রিয় মানুষটি।
অতীত ঘাঁটবেন না
পার্টনারের অতীত নিয়ে অযথা জলঘোলা করলে সম্পর্কে বোঝাপড়ার অভাব হতে পারে। তাই যা হয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। বরং আগামী দিনগুলো কীভাবে সুন্দর করা যায়, তা ভাবুন।
জোর করবেন না
নারী যে কাজটি করতে ইতস্তত বোধ করেন, তা নিয়ে জোর করবেন না। বিশেষ করে যৌনজীবনের ক্ষেত্রে। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে কে-ই বা ভালবাসে?
অকারণ সন্দেহ
কর্মক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিটি কে? কিংবা ওই বন্ধুর সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠতা কেন? এসব প্রশ্ন করে নিজের মনকে অকারণ উত্তেজিত করে তোলার মানে হয় না। অকারণে সন্দেহ বা রাগ করা কোনও নারী পছন্দ করেন না। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা আর বিশ্বাসটাই প্রয়োজন।
পার্টনারের পরামর্শ নিন
কাজ কিংবা পারিবারিক ক্ষেত্রে কোনও বিষয়ে সমস্যায় পড়লে পার্টনারের সঙ্গে আলোচনা করুন। তাঁর মতামত শুনুন। পরামর্শ নিন। তারপর নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। এতে নারীকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়।
মিথ্যা বলবেন না
একটা কথা চাপার জন্য আর পাঁচটা মিথ্যে কথা বলা কখনওই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই সত্যি কথাটা সবার আগে আপনার মুখ থেকেই শুনতে চান আপনার স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ড। এতে সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস বাড়ে।
অন্যকে সম্মান
রেস্তরাঁয় খেতে গিয়ে ওয়েটারকে সিটি বাজিয়ে ডাকার অভ্যেস অনেক পুরুষেরই আছে। কিন্তু সাধারণত মহিলাদের তা অপছন্দ। তাঁর প্রিয় পুরুষ সমাজের প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষকে সম্মান দিবে এমনটাই চান মেয়েরা।
সারপ্রাইজ দিন
বাঁধাধরা জীবনযাপনের মধ্যে একটু টুইস্ট না হলে একঘেয়ে লাগাটাই স্বাভাবিক। তাই গার্লফ্রেন্ডের মুখে নতুন করে হাসি ফোটাতে মাঝে মধ্যে সারপ্রাইজ দিতে পারেন। আর এতে আপনার পার্টনার অনেক বেশি খুশি হবে। আপনার প্রতি তার ভালোবাসা আরও বেড়ে যাবে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
এসএ/