তুলনার অভ্যাস বিষিয়ে দেয় ‘সম্পর্ক’
প্রকাশিত : ১৪:৩৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৮
ভালোর কোনো শেষ নেই। তাই শ্রেষ্ঠ খোঁজার চেষ্টাই বৃথা। বরং তুলনা টানাটানির ফাঁকে অনেক সুখের মুহূর্ত কোথায় যে হারিয়ে যায়, তা খেয়াল রাখা দরকার।
আবার দু’জন মানুষের মধ্যে কে বেশি ভাল, কে কম এ তুলনা টানা বর্তমানে নতুন ঘটনা নয়। তবে সময়টা বদলাচ্ছে, গতি বাড়ছে জীবনের। এর ফলে সমস্যার মেঘও ঘনীভূত হচ্ছে। তাই আরো সতর্ক হওয়া দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
আমাদের মাঝে যত বেশি তুলনা আসবে, সম্পর্কে ততই টান পড়তে পারে। এ সম্পর্কের টানাপড়নে ঘটে যেতে পারে কঠিনতম দুর্ঘটনাও।
যেমনটা ঘটেও গিয়েছে অনেক বার। কখনও প্রিয় বন্ধুর নতুন বান্ধবীর সঙ্গে তুলনা শুরু হলে ভেঙেছে মন। কখনও আবার সন্তানের জন্য কে কত বেশি কাজ করেছে, তা নিয়ে তুলনা করে নষ্ট হয়েছে পারিবারিক আহ্লাদের সময়টুকু। স্কুল, অফিস, বাড়িতে এমন ঘটনা অহরহগ ঘটছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিস্থিতি বিভিন্ন দিক থেকে আসে। সাবধানে হয়ে না চললে ভয়ঙ্কর হবে পরিস্থিতি।
স্কুলে কার হাতের লেখা বেশি ভাল, তা নিয়ে শিক্ষর্থীদের মায়ের মধ্যে তুলনার লড়াই হয়। এ রেষারেষির ফলে দুই মায়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মুখ দেখাদেখি।
ভারতের বিখ্যাত মনরোগের চিকিৎসক অনিরুদ্ধ দেব বলেন, তুলনা টানলে আসলে এক জনকে ওপরে তুলতে গিয়ে অন্য জনকে নীচে নামানো হয়ে যায়। তা কারোর পক্ষেই ভালো লাগে না। ছোটদের ক্ষেত্রে তা মানসিক বিকাশের জন্য অতি ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, এর কারণে শুধু সম্পর্কই নষ্ট হয় না, হতে পারে বড় ধরণের ক্ষতি। অন্যদের সঙ্গে বারবার তুলনা করা যে কোনো মানুষের মধ্যে হিংসা ঢোকে। বড় হয়ে যা কর্মক্ষেত্রে এগোনোর সময়ে বড় বাধা হতে পারে। তার মতে, কখন কোন আচরণে কাউকে আঘাত করে ফেলছি, সেটা সবার আগে খেয়াল করা প্রয়োজন।
আনন্দবাজার
আর / এআর