ঢাকা, শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যেসব খাবার বর্জন করবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৪, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

খাদ্যাভ্যাসের  সমস্যা কিংবা অতিরিক্ত সংবেদনশীল হজমতন্ত্র,  কারণ যেটাই হোক না কেন, মল ত্যাগের সমস্যা হলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।

কোষ্ঠকাঠিন্য  হল এই সমস্যারই এক কথায় প্রকাশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ কিংবা মলত্যাগের সময় ব্যথা হওয়ার মানে হল কোষ্ঠকাঠিন্য, যা বিশ্বব্যাপী প্রায় চার কোটি ২০ লাখ  মানুষের শারীরিক সমস্যা।

প্রাথমিকভাবে এর সূত্রপাত হয় খাদ্যাভ্যাস থেকে, তাই এখানেই হতে হবে সবথেকে বেশি সচেতন, বাদ দিতে হবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে বর্জনীয় খাবারগুলো সম্পর্কে এখানে ধারণা দেওয়া হল।

দুগ্ধজাত খাবার

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আক্রান্ত হলে দুগ্ধজাত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। বিশেষত যদি হন ‘ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট’  অর্থাৎ দুধ যদি পেটে না সয়। সেক্ষেত্রে শরীরের পক্ষে এই খাবারগুলোতে থাকা শর্করা হজম করা দুষ্কর হয়ে ওঠে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়ে।

ভাজাপোড়া

এই ধরনের খাবারগুলোতে চর্বি থাকে বেশি, থাকে না আঁশ। চর্বিতে ভরপুর হজম ক্রিয়া জটিল করে তোলে, বিপাক প্রক্রিয়া মন্থর করে ফেলে।

কাঁচকলা

কোষ্ঠকাঠিন্য  হলে কাঁচা কলা থেকে দূরে থাকতে হবে। কাঁচা কলা শরীরকে মল ধরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য আরও গুরুতর হয়। তবে পাকাকলা ঠিক উল্টো কাজ করবে। পাকাকলায় থাকে আঁশ, যা অন্ত্র থেকে পানি সংগ্রহ করে মলের প্রবাহ সহজ করে।

সাদাভাত

বাঙালির প্রতিদিনের এই খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা বাড়ায়। কারণ, মলের সঙ্গে সহজেই বেরিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে সাদাভাত হজম প্রণালি বসে থাকে। সাদাভাতে আঁশ থাকে না, তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এই ভাতের বদলে আঁশযুক্ত লাল চালের ভাত খান।

হিমায়িত খাবার

এই ধরনের খাবারের পুষ্টিগুণের মাত্রা অত্যন্ত কম। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। এতে আঁশের মাত্রা কম, চর্বির মাত্রা বেশি। ফলে মলত্যাগের সমস্যা থাকলে হিমায়িত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

কেআই/  


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি