ঢাকা, রবিবার   ১২ জানুয়ারি ২০২৫

যে সাত কারণ আপনার ঘুম হারাম করে দিতে পারে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৫, ৫ মে ২০১৮

ঘুম মানুষের নিত্য অনুষঙ্গ। এলিজাবেথান পিরিয়ডের নাট্যকার দোমাস ডেকার বলেন, ‘ঘুম হলো এমন এক অনুসঙ্গ যা আমাদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে দেহের সংযোগ ঘটায়। অন্যদিকে ঘুম কম হলেই মাথা ব্যথা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা স্ট্রোক হতে পারে৷ দ্বিতীয়ত বিষণ্ণতা এবং ভয়ের প্রবণতা বাড়তে পারে, এমনই ধারণা গবেষকদের। শুধু তাই নয় ঘুম হলে সবচেয়ে যে বড় প্রভাবটা পড়ে, তা হলো মস্তিস্কের উপর। মস্তিস্কের সমস্যা দেখা দেয়। শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। শরীরে ক্লান্তি আসে। একাকীত্ব বোধ হয়। তবে ঘুম কেন কম আসে তা গবেষণা করেছেন মনোবিজ্ঞানী থেকে চিকিৎসকরা পর্যন্ত।

ঘুম কেড়ে নেয়, এমন সাতটি বিষয় হলো-

১. দুশ্চিন্তা ও মানষিক চাপ: দুশ্চিন্তা ও মানষিক চাপকে বলা সব রোগের মা। কিন্তু এরপরও জীবনে আমরা দুশ্চিন্তা ও মানষিক চাপকে দূরে ঠেলে দিতে পারি না। আর্থিক সমস্যা, সম্পর্কের সমস্যা ও কাজের চাপের কারণেই দুশ্চিন্তা দেখা দেয়।

মুক্তির উপায়: যারা দুশ্চিন্তা ও মানষিক চাপে ভোগেন, তারা বেডের পাশেই খাতা ও প্যাড-ডায়েরি রাখুন। এরপর নিজের চিন্তা-দুশ্চিন্তা লিখে রাখুন। এমনকি আগামীদিনের জন্য কি করণীয় লিখে রাখুন। তারপর সব চিন্তা খাতায় ঝেড়ে ফেলুন। এ ছাড়া যারা রাতে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন, তারা উষ্ণ গরম কিছু খেতে পারেন। এবং ডিম লাইটের নিচে বসে দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে পারেন।

২. ডায়েট ও খাবার ধরণ: লেখক ভার্জিনিয়া উলফ বলেন, ‘সে ভালো চিন্তা করতে পারে না, ভালোবাসতে পারে না, ভালোবাসে ঘুমুতে পারে না, যদি না সে ভালো কিছু খায়’। একদম খালি পেঠে ঘুমুতে গেলে অবশ্যই ঘুমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটবে। অন্যদিকে অতিরিক্ত খাবার ও অসময়ে খাবার খেলে ঘুমে সমস্যা হয়। বেশি রাতে খাবার খেলে এবং ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবার খেলে রাতে ঘুমে সমস্যা হয়। শুধু তাই নয়, এতে বদ হজমও হয়। তাই ভালো ঘুমের জন্য ঘুমুতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া শেষ করতে হবে।

৩. অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন: চা, কফি ও অ্যানার্জি ড্রিংকে ক্যাফেইন থাকে। ক্যাফেইন মস্তিস্ককে উদ্দীপনা দেয়। শুধু তাই নয়, ক্যাফেইন সেবনের ফলে প্রথম রাতেও সমস্যা দেখা দেয়, ঘুম আসে না। অ্যালকোহল আরও বেশি মারাত্মক। তা ছাড়া অ্যালকোহল সেবনের ফলে ইনসোমনিয়া দেখা দেয়।

৪. তোষক ও বিছানা: গবেষণায় দেখা গেছে ২৬ শতাংশ মানুষ অস্বাস্থ্যকর বিছানায় ঘুমুতে যায়। আবার ২৭ শতাংশ মানুষ ৭ বছরেরও পুরানো বিছানায় ঘুমোয়। এতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই ভালো ঘুমের জন্য বিছানা হতে হবে জকজকে ত্বকত্বকে।

৫. শোবার ঘরের পরিবেশ: শোবার ঘরের পরিবেশটা থাকতে হবে সুন্দর ও গোছালো। মনে রাখতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়ার স্থান শোবার ঘরে নয়। কেবল ঘর নয়, নিজেকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। শোবার ঘরের প্রাইভেসি রক্ষা করুন। মনে রাখবেন আপনি যখন বিবাহিত, তখন এই শোবার ঘরটি আপনার জীবন সঙ্গীরও। তাই এ ঘর অগোছালো হলে আপনাদের কারোর-ই ভালো ঘুম আসবে না।

৬. নীল আলো: নীল আলো মস্তিস্কে এক ধরণের বার্তা পাঠায়। যা শরীরের সব অংশের উপর নিয়ন্ত্রণ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা প্রাযুক্তিক যুগে বাস করছি। ফোন, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং অন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে যে নীল আলো বের হয়, তা ঘুমের জন্য ক্ষতিকর।

৭. আরাম করা: মনে রাখতে হবে, বিশ্রামের অনেক পন্থা আছে। আপনি যদি কেবল বিশ্রাম নেওয়ার জন্যই ঘুমুতে যান, তাহলে ঘুম আসবে না। বরং বিশ্রাম ও শরীরকে শীতলায়ন করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম মেডিটেশান।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি