অসময়ে বুড়িয়ে যাওয়া এড়াতে মেনে চলুন ৫ নিয়ম
প্রকাশিত : ২১:০০, ১৪ মে ২০১৮
একাধিক স্টাডি অনুসারে, পরিবেশ দূষণ সরাসরি প্রভাব পরছে ত্বকের ওপর। সেই সঙ্গে স্ট্রেসের মাত্রা বাড়ার কারণে অসময়ে ত্বকও যাচ্ছে বুড়িয়ে। আর ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া মানে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়া। ফলে সৌন্দর্য কমতে সময় লাগে না। এমনটা যে কারও সঙ্গেই ঘটতে পারে। কিন্তু আপনি যদি চান, তাহলে বয়স বাড়লেও আপনার ত্বক কিন্তু থাকবে সুন্দর এবং তুলতুলে। আসলে এমন কিছু সহজ নিয়ম রয়েছে, যে নিয়মগুলো মানলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে একেবারেই সময় লাগবে না। তাহলে চলুন জেনে নিই ৩০-এর পরেও ত্বককে উজ্জ্বল এবং প্রণবন্ত রাখতে কী কী করতে হবে-
যতটা সম্ভব চিনি কম খান
একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়ে গেছে, দেহের ভেতরে চিনির মাত্রা বাড়তে থাকলে গ্লাইকেশন নামে একটা ঘটনা ঘটে থাকে। এই সময় চিনি, ত্বকের ভেতরে পানির মাত্রা কমাতে শুরু করে। ফলে স্কিনের আদ্রতা হারিয়ে যায়। আর এমনটা হলে বলিরেখা প্রকাশ পেতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই আজীবন যদি ত্বককে সুন্দর রাখতে চান, তাহলে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। তাহলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে
ত্বক তখনই বুড়িয়ে যায়, যখন স্কিন নিজের আদ্রতা হারাতে থাকে। এই কারণেই তো ত্বককে সুন্দর রাখতে বেশি মাত্রায় পানি খাওযার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে দেহের ভেতরে পানির ঘাটতি দূর হলে ত্বকের আদ্রতাও বজায় থাকে। ফলে স্কিনের ইলাস্ট্রিসিটির এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে সৌন্দর্য তো কমেই না। উল্টে বয়সের কোনও ছাপই পারে না ত্বকের ওপর। তাই তো দিনে কম করে ৩-৪ লিটার পানি খেতে ভুলবেন না যেন!
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর ঘাটতি যেন না হয়
ত্বকের ভেতরে টক্সিক বা বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। তাই এমনটা যাতে আপনার ত্বকের সঙ্গে না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যে যে খাবারে এই দুই উপাদান রয়েছে, তা বেশি করে খেলে ত্বকের গভীরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য কমার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, যে যে খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি থাকে, সেগুলি হল- জাম, ডার্ক চকোলেট, বিনস, রাজমা, কিশমিশ, টমাটো, ব্রকলি, কাজু বাদাম প্রভৃতি।
প্রোটিনের ঘাটতি
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেহের ভিতরে প্রোটিনের মাত্রা কমতে থাকলে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে স্ট্রেসের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার সরাসরি প্রভাবে পরে ত্বকের ওপর। আসলে স্ট্রেস লেভেল বাড়লে মস্তিষ্কে কর্টিজল নামক একটি হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ত্বক বুড়িয়ে যেতে থাকে। এই কারণেই তো ত্বককে সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডার্মাটোলজিস্টরা।
ঘুমের ঘাটতি মানেই ত্বকের মৃত্যু
আসলে ঘুমনোর সময় আমাদের দেহের ভেতরে থাকা চিকিৎসকেরা সারা দিন ধরে শরীর এবং ত্বকের ভেতরে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতদের চিকিৎসা করা শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন দেহের ভাঙন রোধ হয়, তেমনি অসময়ে ত্বকের সৌন্দর্য কমে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো ত্বককে সুস্থ রাখতে কম করে ৮ ঘন্টা ঘুমতেই হবে। আর যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলে সৌন্দর্য তো কমবেই, সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসার, হার্টের রোগসহ নানাবিধ জটিল অসুখ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যাবে বেড়ে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
একে//টিকে