ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

চকচকে ফলে কমতে পারে প্রজনন ক্ষমতা : গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২২, ২৬ মে ২০১৮

সব চকচকে জিনিস সোনা নয়। তেমনই সব চকচকে ফলও ভাল নয়। বরং বহু ক্ষেত্রে তাতে এমনই রাসায়নিক থাকে যার ফলে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। এমনকি স্নায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনই তথ্য দিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একদল গবেষক।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক সুজয় ঘোষ এবং তাঁর ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘ চার বছরের গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ফলের পচন রোধে এবং ফলকে আকর্ষণীয় করার জন্য ড্যামিনোজাইড অথবা অ্যালার নামক যে রাসায়নিক মেশানো হয়, তা মানব শরীরে ঢুকলে প্রজনন ক্ষমতা কমে এবং স্নায়ুর মৃত্যু ঘটতে পারে।
চার বছর আগে সুজয় ও তাঁর সহযোগী গবেষক সোহিনী সিংহরায়সহ আরও কয়েক জন ওই রাসায়নিকের কুপ্রভাব নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। গত অক্টোবরে গবেষণা শেষ হয়।
সম্প্রতি ইউরোপের ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি টক্সিকোলজি’জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশের জন্য গৃহীত হয়েছে।
সুজয় জানান, গবেষণায় বেছে নেওয়া হয়েছিল আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত ফলের মাছি ড্রোসোফিলাকে। কারণ এই মাছির সঙ্গে মানুষের ৭৫ শতাংশ জিনগত সাদৃশ্য রয়েছে। ড্রোসোফিলার উপরে এই রাসায়নিক প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। শূককীটগুলিও বেশি দিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারছে না। একই ভাবে দ্রুত তাদের স্নায়ুর মৃত্যু ঘটছে। মানুষের সঙ্গে এই মাছির জিনগত মিল থেকে পরিষ্কার যে এ ভাবেই কুপ্রভাব পড়ছে মানুষের শরীরেও।
গবেষক সুজয়ের মতে, অবিলম্বে এই রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। ফলের উপরের খোসা অবশ্যই ফেলে খাওয়া উচিত। যদিও অনেক সময়েই ত্বক ভেদ করে ফলের ভেতরেও ঢুকে যায় এই রাসায়নিক। তিনি বলেন,‘বিশেষ করে আপেল, তরমুজের মতো ফল এই রাসায়নিকের ব্যবহারে চকচকে হয়। এর ফলে সহজে ক্রেতাদের নজর টানা যায়। তা ছাড়া আম, আঙুর, লেবুর দ্রুত পেকে যাওয়া আটকাতেও এই রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়।’
কয়েক বছর আগে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, শরীরে এই রাসায়নিকের প্রভাবে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাঁর মতে, বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। তবে সরকারি তরফেও এর ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

সূত্র : আনন্দবাজার।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি