লং ডিস্টেন্স সম্পর্ককে মধুর করে তুলবেন যেভাবে
প্রকাশিত : ১৪:২২, ২৮ জুন ২০১৮
ছবি: প্রতীকী
সম্পর্ক মোটেই কোনো ছেলেখেলা নয়। কাছের মানুষ দূরে চলে গেলে যে শূন্যতা তৈরি হয় মনে- সেই শূন্যতার সেই ভালো বোঝে যার কাছের মানুষটি অনের দূরে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সম্পর্কগুলো সত্যিই অনেক কঠিন হয়। তবে বিষয়টি প্রচণ্ড ভাল লাগে এই ভেবে যে, দূরত্ব সত্ত্বেও কেউ চেষ্টা করছে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে। যাইহোক, একটি ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দুপক্ষেরই চেষ্টা এবং অবদান প্রয়োজন। একই ঘরে থেকেও যেখানে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে, সেখানে যদি দুইজন দুইদেশে থাকেন তবে ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে কিন্তু দায়িত্ব আরও অনেক বেড়ে যায়। তাই কয়েকটি পদ্ধতিতে আপনি আপনার লং ডিস্টেন্স সম্পর্কে কষ্ট কমিয়ে তা আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
যোগাযোগের নিয়ম
যে কোনও সম্পর্কে, বিশেষত লংডিস্টেন্সের ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ওভার পসেসিভ হওয়া বা নিরাপত্তাহীনতার ফলে আপনি যদি প্রতি পদে আপনার সঙ্গীকে কল বা টেক্সট করতে থাকেন, তবে শেষমেষ সেই সম্পর্কে তিক্ততা এসে যায়। তবে যোগাযোগ রাখা এবং একে অপরের বিষয়ে আপডেটেড থাকা উচিত।
একসঙ্গে প্ল্যান করতে থাকুন
আপনি এবং আপনার সঙ্গীর একসঙ্গে কোনও জিনিসের প্ল্যান তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, যখনই আপনারা দেখা করবেন, পরের বার একসঙ্গে কি কি করবেন সে প্ল্যান করতে থাকুন। ফলে যতদিন বাদেই আপনাদের আবার দেখা হোক না কেনও, নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা থাকলে চিন্তাও যেমন কম হবে, তেমনই আপনাদের উত্তেজনাও বাড়তে থাকবে।
যোগাযোগের বিষয়টি আগেই ঠিক করা
যখন আপনারা দুজনে দুই শহরে থাকবেন এই সময়টা কীভাবে পার করবেন এবং কীভাবে যোগাযোগ চলবে, তা আগেই ঠিক করে নিন।
নিজের আলাদা জীবন তৈরি করুন
দুজনে আলাদা শহরে থাকার ফলে দূরত্বের জন্য একে অপরের সঙ্গে ইচ্ছে মত দেখা করতে না পারলে দুঃখ তো থাকবেই। কিন্তু এই সুযোগকেই কাজে লাগাবার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ, একসঙ্গে থাকার ফলে আপনাদের একে অপরের জন্য যতটা সময় ব্যয় করতে হত, দূরে থাকার ফলে সেই সময়টার আপনি সদ্ব্যবহার করুন। আপনার সঙ্গী অন্য শহরে থাকার ফলে আপনি হাতে যে অবসর সময় পান, সেই সময়টা নতুন নতুন কাজ এবং সুযোগ খুঁজুন। শুধু বসে থেকে সঙ্গীর জন্য মন খারাপ না করে বাইরে যান। নতুন বন্ধু তৈরি করুন।
একে//