ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সম্পর্কে যে ৭টি বিষয় এড়ানো যাবে না

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩৬, ৬ জুলাই ২০১৮

সম্পর্ক এমন একটি বিষয় তা প্রতি মুহুর্তে যত্নে লালন করতে হয়। অনেক সুন্দর সুসম্পর্কও শুধু অবহেলার কারণে ভেঙ্গে যায়। আর তাই সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন ৭টি বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে। এসব বিষয়ে অবহেলা ডেকে আনতে পারে আপনার সম্পর্কের করুণ পরিণতি। এগুলো হলো-

১) দূরত্ব সবসময়ই সম্পর্ক গভীর করে না

সম্পর্কের মধ্যে মাঝে মাঝে একে অপরকে একাকী থাকার সুযোগ করে দেওয়ার পক্ষে মত দেন অনেকেই। এর সুফলও পাওয়া যায়। তবে এর মানে এই না যে, সবসময়ই তা ইতিবাচক ফলাফল দেবে। একে অপরের থেকে দূরে থাকার বিষয়টি অনেকসময় স্থায়ী দূরত্বের কারণ হতে পারে। আপনার সঙ্গীর যখন খুব প্রয়োজন আপনাকে, তখন তার থেকে দূরে থাকলে সঙ্গীর মনে আপনার জন্য নেতিবাচক চিত্র ফুটে ওঠবে।

২) সহযোগী নাকি পরনির্ভরশীল?

একে অপরের কাছাকাছি থাকা ভালো তবে এর মানে সবসময় আঠালো অবস্থায় থাকতে হবে বিষয়টি কিন্তু এমন না। আপনার যদি মনে হয় যে, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী প্রতিটি মুহূর্ত আপনার সাথে সাথে থাকছে তাহলে তা চিন্তার কারণ বটে। আপনার সঙ্গী আপনার সহযোগী হবে তবে কেউ কারও ওপর নির্ভরশীল হবেন না।

৩) সঙ্গীর কারণে বন্ধু ও স্বজনদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন?

আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি সবসময় আপনার বন্ধু বা স্বজনদের বিষয়ে অভিযোগ করতে থাকে তাহলে তা মোটেও স্বাভাবিক নয়। আপনি আপনার বন্ধুমহল কিংবা আত্মীয় স্বজনদের সাথে সময় কাটাবেন; এর পূর্ণ অধিকার আপনার আছে। কিন্তু তা নিয়ে যদি আপনার পার্টনারের আপত্তি থাকে তাহলে এই সম্পর্ক নিয়ে আপনার আরেকবার ভেবে দেখা উচিত। অনেক সময় আপনার পার্টনার সবার থেকে আপনাকে সরিয়ে একাকী করতে চাইবে যেন সে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

৪) মতামতে পার্থক্য থাকতেই পারে; তার মর্যাদা দিন

দুই জন মানুষ যেহেতু আলাদা দুই সত্ত্বা তাই তাদের মধ্যে মতামতে পার্থক্য থাকতেই পারে। এসব নিয়েও দুইটি মানুষ একসাথে থাকতে পারে। আপনাকে যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে তা হলো আপনার সঙ্গীর যেন আপনার মতামতের প্রতি সম্মান থাকে। আর আপনারও আপনার সঙ্গীর মতামতের প্রতি সম্মান থাকতে হবে। যদি দেখেন যে, আপনার মতামতের প্রতি আপনার সঙ্গীর যদি সম্মানবোধ না থাকে তাহলে এটা আপনার সম্পর্কের জন্য এক অশনী সংকেত।

৫) সঙ্গী কী আপনাকে খারাপ অনুভব করাচ্ছে?

আশেপাশের মানুষজনের সাথে আপনার সম্পর্ক যাই হোক না কেন, কারোরই অধিকার নেই আপনাকে আপনারই প্রতি খারাপ অনুভব করানোর। আপনার সঙ্গী যদি আপনার বিভিন্ন বিষয়ে অযথাই খুঁত ধরতে থাকে, বারবার আপনার সিদ্ধান্ত বা লাইফস্টাইলকে ‘খারাপ’ বলতে থাকে তাহলে তা আপনার সম্পর্কের জন্য মোটেও ভালো নয়।

৬) ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলতে না চাওয়া

কোন সম্পর্কে থাকা মানুষগুলো যখন সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকে তখন তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলে। কোন শহরে থাকবেন, কেমন বাসায় আপনারা উঠবেন এমন ছোট ছোট বিষয় থেকে বড় বড় বিষয়গুলোতে আগে থেকেই আলোচনা হয়ে নেওয়া ভালো। তবে আপনার সঙ্গী যদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার এমন বিষয় নিয়ে কথা বলতে না চায় তাহলে বুঝতে হবে যে, ভবিষ্যতে আপনি একাও হয়ে পরতে পারেন!

৭) সম্পর্কের আকর্ষণ যদি হয় সেক্স

একটি সম্পর্কে সেক্স বা যৌন মেলামেশা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত শারীরিক মিলনে সম্পর্কের গাঢত্ব বাড়ে। কিন্তু তার মানে যদি এমন হয় যে, আপনারা দুই জন একে অপরের প্রতি শুধু এই বিষয়টির জন্যই আকৃষ্ট হবে তবে তা ভালো না। সেক্স করা বা এ নিয়ে আলোচনা করা ছাড়া আপনাদের মধ্যে যদি আর কোন বিষয় না থাকে তাহলে এমন সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই শ্রেয়।   


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি