ভুঁড়ি কমাতে কার্যকর ৯ সবজি
প্রকাশিত : ১৩:১৩, ২১ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৩:১৬, ২১ জুলাই ২০১৮
ভুঁড়ি বাড়ছে মানে যে শুধুই দেখতে খারাপ লাগছে তাই কি? আত্মবিশ্বাসও কি একটুও কমে যাচ্ছে না? শরীরে প্রভাব পড়ছে নাকি একটুও? সমীক্ষা বলছে ভুঁড়ি বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ এবং শরীরের অন্যান্য জটিলতাও। তাহলে উপায়? ভুঁড়ি কমাতে হবে মানেই রোজ ব্যায়াম, পুশ আপ বা ক্রাঞ্চেস নয় কিন্তু। সুস্থ খাবারেই কমবে ভুঁড়ি, চনমনে থাকবে স্বাস্থ্যও। কোন কোন খাবারে কমবে ভুঁড়ি? দেখা যাকঃ
১. কুমড়োঃ বেশি পরিমাণ ফাইবার আর কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার হল কুমড়ো। ভুঁড়ি কমাতে রোজের খাবারের লিস্টে কুমড়ো রাখলে উপকারই পাবেন। রান্না করেও খেতে পারেন, খেতে পারেন স্যালাড হিসেবেও।
২. কুমড়োর মতোই গাজরও লো ক্যালোরি খাবার। ফাইবারে ঠাসা গাজরের জুস খেতে পারেন রোজই। স্যালাডের সঙ্গেও গাজর খান অবশ্যই।
৩. বিনসঃ অন্যান্য উপকারিতা তো আছেই, কিন্তু পেটের চর্বি কমাতে অন্যতম সেরা সবজি হল বিনস। বিভিন্ন পরীক্ষায় এটি প্রমাণিত যে, বিন নিয়মিত খেলে মোটা হওয়ার থেকে রেহাই মেলে।
৪. শতমূলীঃ সবজি হিসেবে খুব একটা চেনা নাম নয় শতমূলী। কিন্তু চর্বি নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। শতমূলীতে রয়েছে কেমিক্যাল অ্যাস্পারাজিন, যা সরাসরি কোষের উপর কাজ করে আর চর্বি জমতে দেয় না। শতমূলী সামান্য রোস্ট করে অথবা হালকা ভাজা অবস্থায় খেতে পারেন রোজ।
৫. শাক এবং অন্যান্য সবুজ পাতা জাতীয় সব্জিঃ বিভিন্ন শাক, লেটুস পাতায় রয়েছে ভুঁড়ি কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যেসব সব্জিতে চর্বি কমে তাঁদের মধ্যে শাকের উপকারিতা সবথেকে বেশি। রোজের ব্রেকফাস্ট বা দুপুরের খাওয়ায় শাক অবশ্যই খান।
৬. মাশরুমঃ আমিষ হন বা নিরামিশাষী, মাশরুম সকলেরই পছন্দ। মাশরুম রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মাশরুম প্রোটিনে ঠাসা, যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জমা আটকায়।
৭. ফুলকপি আর ব্রকোলিঃ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর বিভিন্ন মিনারেল ও ভিটামিনের পাশাপাশি ব্রকোলিতে রয়েছে ফটোকেমিক্যাল যা চর্বি জমতে দেয় না শরীরে। একই উপকার রয়েছে ফুলকপিতেও।
৮. লঙ্কাঃ ফ্যাট কমাতে সত্যিই লঙ্কার জুড়ি নেই। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, লঙ্কা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য তো করেই, এছাড়াও শরীরে জমতে থাকা চর্বিও অক্সিডাইজ করে।
৯. শশাঃ ডিটক্সিফিকেশনের গুণ রয়েছে শশায়। শশায় ফাইবার আর জলের আধিক্য থাকায় বারে বারে খিদে পাওার প্রবণতা কমায় এই ফলটি। দুপুরে খাবারে রোজ শশা রেখে দেখতেই পারেন।
সূত্র- এনডিটিভি
আরকে//