ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চেরি কতটুকু উপকারী
প্রকাশিত : ১৫:১৮, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
চেরি হচ্ছে এক প্রকার ফল। এটি সাধারণত ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়াতে বেশি উৎপন্ন হয়। এটি বিভিন্ন রোগের ওষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত বিভিন্ন ডেজার্ট, কেক থেকে শুরু করে আইসক্রিম- সবারই উপরে লাল ছোট্ট চেরি দেখতে পাওয়া যায়। মিষ্টি, খানিক টক এই ফল সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়।
চেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। এটি আপনি স্যালাড বা ফলের চাটে মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে খাদ্য তালিকায় কোনও রকম পরিবর্তন করতে চাইলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো। ডায়াবেটিসের জন্য চেরি যেভাবে সাহায্য করে-
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
চেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে কিছু আবার অ্যান্টি ডায়াবেটিক প্রকৃতির। বিশেষজ্ঞদের মতে ‘টার্ট চেরি ডায়াবেটিস চিকিত্সায় উপকারী হতে পারে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্থোসায়ানিন ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।’ উজ্জ্বল লাল রঙ হওয়ার কারণে অ্যান্থোসায়ানিন চেরিতে প্রাকৃতিকভাবেই থাকে। ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং আঙ্গুরেও অ্যান্থোসায়ানিন থাকে।
ফাইবার সমৃদ্ধ
চেরি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। দশটি চেরিতে প্রায় ১ দশমিক ৪ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা একজন প্রাপ্তবয়স্কর আরডিএর (প্রস্তাবিত খাদ্যতালিকাগত অনুমোদন) প্রায় ১০ শতাংশ। ফাইবার থাকায় চিনি দ্রুত বিপাক হতে পারে না। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় না।
জিআই সূচকের ফল
চেরির গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম হয়। চেরির জিআই স্কোর মাত্র ২০। চেরিতে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রাও খুব কম। এক কাপ চেরিতে ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। গ্লাইসেমিক সূচক হল খাদ্যে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা নির্ধারণকারী একটি সূচক। যাতে কোন খাবার কীভাবে রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা প্রভাবিত করে তা নির্ণয় করা যায়। যে খাবারের জিআই মান ৫৫ এর কম সেই খাবার সহজেই হজম হয় এবং রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা খুবই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে। কম জিআই খাবার ডায়াবেটিকদের জন্য সুপারিশ করা হয়।
এমএইচ/একে/