ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

গর্ভাবস্থায় মুড সুইং করলে যা করবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৩, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১২:৫০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গর্ভধারণ সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণা, যদি আপনার কাছে তা কাঙ্খিত হয়। একজন নারীর জীবনে গর্ভবতী হওয়া খুব বড় একটা বিষয়। দেহের মধ্যে আরও একটি প্রাণকে লালনপালন করা সহজ কাজ নয়। জীবনের এই কঠিন সময়টাতে মুড খুব সুইং হয়। এই ভালো তো এই মন্দ। বিশেষ করে যখন প্রসব যন্ত্রণা ওঠে, তখন মেজাজটা চড়ে যায়। গর্ভবতী হলে কেউ অনেক উৎফুল্ল, আবার কেউ আকস্মিকতায় হতবিহ্বল অনুভব করতে পারেন। অনেক দিন চেষ্টা করে মা হতে চলেছেন, তারপরও খুব বেশি উৎফুল্ল বোধ করছেন না, এমন হলেও ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এ সময় কিছু বিষয় মেনে চলা যেতে পারে।

ধ্যান করুন

এই সময় হরমোনের অনেক ওঠানামা হয়। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওঠানামা করে মেজাজও। এই সময় শরীর ও মনের উপর খুব চাপ পড়ে। এই সবই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যোগাসন। প্রেগন্যান্সির সময় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি খুব সাহায্য করে। শুধু চাপ কমানোই নয়, গর্ভাবস্থার যে কোনও সমস্যা- যেমন, পিঠে ব্যথা, সকালে গা গোলানো ভাব, মাথাধরা এই সবও যোগাসনে কমে। প্রতিদিন সকালে ধ্যান করলেও মেজাজ ঠিক থাকে।

সময় দিন নিজেকে

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনুভূতি খুব বেড়ে যায়। এই সময় নিজেকে সময় দেওয়াটা খুব দরকার। যেভাবে পারবেন নিজেকে একটু বেশি করে ভালোবাসুন। যা মন চায়, করুন। যদি দিনে অনেকটা সময় কাজের মধ্যে কাটাতে হয়, যদি আপনি ৯টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কাজের মধ্যেই ডুবে থাকেন, তাহলে বাকি সময়টা চাপ মুক্ত করুন। এক্ষেত্রে অবশ্য আপনার সঙ্গীকেও সচেষ্ট হতে হবে।

যতক্ষণ ইচ্ছে ঘুমান

যখনই মনে হবে, একটু ঘুমিয়ে নিন। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। যতক্ষণ ইচ্ছে হয়, ঘুমান। আর ক্লান্ত হলে ঘুম তো অবশ্যম্ভাবী। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ঘুমের সময় যেন মশা না কামড়ায়। এ থেকে রোগও ছড়াতে পারে। রাত বা দিন, যখনই সময় পাবেন, ঘুমিয়ে নিন। এই সময় এটির সবচেয়ে বেশি দরকার।

খিদে পেলেই খেয়ে নিন

সঠিক ডায়েট সবসময়ই জরুরি। বাড়ন্ত শিশুর জন্য এটি খুব দরকারী। সময়মতো খাওয়াটাও খুব দরকার। খিদে পেলেই খান। সবসময় যে পুষ্টিকর খাবারই খেতে হবে, এমন নয়। স্ন্যাকস বা আইসক্রিমের মতো খাবারও খেতে পারেন। এতে স্বাদবদল যেমন হবে, মনও ভাল থাকবে।

কথা বলুন

যখনই মন খারাপ হবে, কারও সঙ্গে কথা বলুন। নিজের কাছের জনের সঙ্গে কথা বললে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। মনের চাপ কমে। কখনও কখনও বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে যান। এতে মন ভালো থাকবে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

এসএ/

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি