ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

শ্বশুরবাড়িতে যে ৯ নিয়ম মেনে চলবেন 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মেয়েদের বিয়ে হলে্ই নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে চলে যেতে হয়। আর সেখানে নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষজনকে মানিয়ে নেওয়া খুব কষ্টকর হয়ে যায়। কেননা শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়তার সম্পর্কটি পুরোটা ভিন্ন। কিন্তু কোন উপায় নেই এই পরিবেশে, এই মানুষদের সঙ্গেই বাস করতে হবে। তাই তাদের সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে চলা যায় সেই নিয়ম জেনে নেওয়া জরুরী।    

১) সঙ্গীর সাহায্য নিন, তার কাছ থেকে জেনে নিন কেমন আচরণে পরিবার বিব্রতবোধ করে। সকলের পছন্দ-অপছন্দ জানুন, সকলের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখুন। এতে আপনার জন্যে সহজ হবে। আজীবন কাজে আসবে তথ্যগুলো।     

২) প্রতিটি বাড়ির কিছু আলাদা নিয়ম থাকে। যেমন- সকাল ৮ টায় নাস্তা বা রাত ৯ টায় রাতের খাবার ইত্যাদি। বাড়ির নিয়মগুলো ভালোভাবে জেনে নিন। যতক্ষণ সকলের সঙ্গে আছেন, চেষ্টা করুন নিয়মগুলো মেনে চলতে। পরিবারের একজন দলছুট হয়ে নিয়ম ভঙ্গ করলে শুরুতেই খারাপ প্রভাব পড়ে।  

৩)বিবাহিত জীবনের সবচাইতে বড় সম্বল হচ্ছে ম্যাচিউরিটি। দাম্পত্যে ম্যাচিউর আচরণ আপনাকে যা দিতে পারবে, অন্য কিছুই তা পারবে না। পরিবারের সকলকে বোঝার চেষ্টা করুন, ক্ষমা করতে শিখুন, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক রক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। কোথায় আপনাকে কী করতে হবে, সহজেই বুঝে যাবেন। মনে রাখবেন, আনন্দ বিনিময় করা খুব সহজ। কেবল চাই একটুখানি চেষ্টা।

৪) শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়ের সাথে আর্থিক লেনদেন একদমই পরিহার করুন। উপহার দেওয়া বা সাহায্য করা এক ব্যাপার, কিন্তু ধার-দেনার মাঝে একেবারেই যাবেন না। টাকা সম্পর্ক নষ্ট করার মূল।

৫) বয়সে বড় সকলের জন্যেই সম্মান ও ছোটদের জন্যে স্নেহ বরাদ্দ রাখুন। হয়তো মনে মনে আপনি মানুষটিকে পছন্দ করেন না। কিন্তু যেহেতু তারা আত্মীয়, সম্মান ও স্নেহ তাঁদের প্রাপ্য।

৬) ভনিতা করে বা অভিনয় করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না। হয়তো আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি যেমন পছন্দ করেন, আপনি তেমন নন। কিন্তু তাই বলে নিজেকে তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী করার চেষ্টা করে লাভ নেই। আপনি যেমন আছেন, সেভাবেই তাঁদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। নিজেকে বদলে ফেলে কিছুই পাবেন না।

৭) শ্বশুরবাড়ির কারো ব্যক্তিগত দাম্পত্য জীবনে নাক গলাবেন না। যেচে পড়ে উপদেশ দিতে যাবেন না। কেবল তখনই কথা বলুন, যখন অন্য পক্ষ সেটা শুনতে চায়।

৮) নিজেকে শান্ত রাখতে শিখুন। নিজের পরিবারেও অনেক কিছু আমাদের পছন্দ হয় না। সেখানে শ্বশুরবাড়ির সবকিছু বা সবাইকে আপনার ভালো লাগবে, এমনটা ভাবা অনুচিত। নতুন সবকিছুকেই খারাপ মনে না করে কিছুদিন চেষ্টা করেই দেখুন ভালো লাগে কিনা।

৯) কিছু ব্যাপার আগেই নির্ধারণ করে রাখুন। সম্পর্কের সীমারেখা থাকা জরুরী, তাই স্বামী-স্ত্রী মিলে ঠিক করুন ব্যাপারগুলো। যেমন- শ্বশুরবাড়িতে কী দেবেন আর কীভাবে, উৎসব-অনুষ্ঠানে কী হবে, কোন ব্যাপারগুলোতে আপনারা কথা বলবেন আর কোনগুলো এড়িয়ে যাবেন ইত্যাদি।

কেএনইউ/এসি   

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি