ওষুধ ছাড়াই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
প্রকাশিত : ১৪:৫১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
শরীর ভাল রাখতে খাওয়াদাওয়ার প্রতি সচেতনতা বেড়েছে। কঠোর নিয়ম মেনে চলতে পারলেও খাবারের পাতে ভিটামিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট বা ফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেন অনেকেই।
কিন্তু এত কিছু ভাবার মাঝেও বাদ পড়ে যায় অনেক কিছুই। বিশেষত ফাইবার। ডায়েটে ফাইব্রাস ফুড কম পড়ে যাচ্ছে কি না তা আমরা খুব একটা মাথায় আনি না। তাই ফাইবার নিয়ে তেমন সতর্কতাও চোখে পড়ে না।
অথচ এর হাত ধরেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হানা দেয় শরীরে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েড বা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি নাজেহাল করে। সে ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারই রুখে দিতে পারে এই সমস্যা। দ্রবণক্ষম ডায়েটারি ফাইবারে আস্থা তাই রাখতেই হয়।
দ্রবণক্ষম ডায়েটারি ফাইবার কী?
জলে দ্রবীভূত হয় যে সব ফাইবার, তারাই এককথায় ‘দ্রবণক্ষম ফাইবার’। এ সব খাবার অন্ত্রে দ্রবীভূত হয়ে জেলির ন্যায় একটি থকথকে জিনিসে পরিণত হয় যা মলত্যাগে সাহায্য করে।
ওটস, ব্রাউন রাইস, তাল, আলুবোখরা এগুলিতে এমন ফাইবার থাকে। প্রতি দিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় নাজেহাল হতে হয় এমন মানুষের, জানেন কি, কী কী খাবারে রুখে দিতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, তাও ওষুধের শরণ না নিয়েই? ফাইবারের জোগান ঠিক রাখতে পাতে রাখুন আমন্ড।
প্রতি দিনের খাবারের তালিকায় রাখুন ব্রাউন ব্রেড বা ব্রাউন রাইস। এতে ফাইবারের পরিমাণ অন্যান্য খাবারের চেয়ে বেশি। প্রতি দিন তা করতে না পারলে অন্তত আটার রুটি রাখুন পাতে। ভাত থেকেও প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায়। কিন্তু ওবেসিটির কারণে ভাত এড়িয়ে আটার রুটিতে আস্থা রাখুন।
প্রোটিন ডায়েট শরীরের পক্ষে উপকারী। কিন্তু বেশি প্রোটিন খেতে হলে সঙ্গে ফাইবারের মাত্রা বাড়ান। প্রতি দিন সন্ধ্যায় কয়েকটা আমন্ড ও অঙ্কুরিত ছোলা খান। মুগের দানাও খেতে পারেন। কালো বা সবুজ মুগের দানা তেল ছাড়া কড়ায় নেড়েচেড়ে কৌটোবন্দি করে রাখুন। এতে ফাইবারের মাত্রা বেশ বেশি।
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে বা ওজন বাড়ার ভয়ে অনেকেই যে কোনও কপি এড়িয়ে চলেন। তাই প্রতি দিনের ডায়েটে পেঁপে, ব্রকোলি, গাজর, বিট বিনস রাখুন ডায়াটে।
প্রতি দিন একটা করে ফল খান। কোষ্ঠকাঠিন্যের অসুখ থাকলে বেদানা এড়িয়ে চলুন। তার বদলে আপেল, পেয়ারা, কলা খান। বিভিন্ন শস্যদানা ও সবজির বীজেও উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যে এ সব যোগ করলেও সুফল পাবেন। প্রতি দিন টক দই খান। এতে শরীরের টক্সিন দূর হয়।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচ/