ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘামাচি প্রতিকারে সহজ ৮ উপায়

প্রকাশিত : ১০:১৮, ১ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৭:০৪, ১ জুলাই ২০১৯

একদিকে বর্ষা অন্যদিকে প্রচণ্ড গরম। হাঁসফাঁস করছে মানুষ। এর উপর যদি ঘামাচি থাকে, তা হলে তো কষ্টের শেষ নেই। আবহাওয়ার এই সময়ে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। এতে ঘামাচি, র‌্যাশ, চুলকানির সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই, এই বিরক্তিকর ঘামাচি থেকে রক্ষায় কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন।

গরমকালে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে ত্বকের লোমকূপের ভেতর থেকে পানি অর্থাৎ ঘাম বেরিয়ে আসে। এই ঘামে মিশে থাকা লবণের কারণে যদি লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়, তবে সেই অংশ দিয়ে পরবর্তীতে ঘাম বের হতে পারে না। এর ফলে লোমকূপের সেই অংশটি ফুলে যায় এবং জীবাণুর আক্রমণ ঘটে। ওই স্থানে জামা-কাপড়ে ঘষা খেলে বা চুলকালে অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়। অনেক সময় র‌্যাশও দেখা দেয়।

জেনে নিন ঘামাচি থেকে বাঁচার সহজ উপায়:

১. গরমকালে ঘাম হবেই। চেষ্টা করুন কিছুক্ষণ অন্তর ঘাম মুছে ফেলতে। তবে ঘাম মোছার সময় অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মুছবেন না। আর সব সময় পরিস্কার নরম রুমাল ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে সঙ্গে অতিরিক্ত রুমাল রাখুন।

২.  সম্ভব হলে দিনে দুবার গোসল করুন। এ সময় কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন। ঘামাচি থাকলে বেশি ঘষবেন না। হালকা হাতে নরম কিছু দিয়ে অল্প অল্প স্ক্রাব করুন।

৩. গোসলের পানিতে অ্যান্টি-সেপটিক লোশান ব্যবহার করুন। এছাড়াও এই পানিতে লেবুর রস, নিম পাতার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বক ফ্রেশ থাকবে এবং জীবাণু কম হবে।

৪. হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন। বেশি ডার্ক রঙের জামা-কাপড় এবং টাইট কাপড় পড়া এড়িয়ে চলুন।

৫. ঘামাচি হলে একদম চুলকাবেন না। অ্যালোভেরার রস, নিম পাতার রস, পাতিলেবুর রস পানিতে মিশিয়ে পাতলা করে নিয়ে লাগাতে পারেন।

৬. ট্যালকম পাউডার ব্যবহার না করাই ভালো। এতে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে।

৭. প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।

৮.  ফল আর শাক-সবজি জাতীয় খাবার খাবেন প্রচুর পরিমাণে।

লেখাটি ভারতের জি-বাংলা অবলম্বনে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি