চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে যে ১০ খাবার
প্রকাশিত : ১৪:৫৭, ২ জুলাই ২০১৯
সৌন্দর্যের একটি বড় পার্ট হলো চুল। সুন্দর চুল না হলে সৌন্দর্যের কমতি থেকে যায়। তাই সুন্দর চুলের আশায় অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। এতে সাময়িক ফল আসে কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আকর্ষণীয় ঘন, কালো এবং লম্বা চুলের জন্য অবশ্যই আপনাকে নির্ভর করতে হবে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের উপর। পুষ্টিসম্পন্ন খাবার চুলের সঠিক বৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে চুলের গোড়াকে করে শক্ত এবং চুলকে করে সুন্দর ঝলমলে। একই সঙ্গে চুলের নানা রোগব্যাধি থেকে দেয় সুরক্ষা। তাই চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কোন কোন খাবার খাবেন তা দেখে নিন :
শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে অত্যাধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফ্যাটি এসিডের মত ভিটামিন রয়েছে। এছাড়া খনিজ পদার্থও রয়েছে যা চুলকে সুন্দর ও ঝকঝকে করে।
বাদাম
বাদাম রয়েছে প্রচুর পরিমানণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এছাড়া ভিটামিন-ই এবং বায়োটিনের ভালো উৎস হলো বাদাম। এসব উপাদান চুলকে রোদ ও সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
মাছ
সামুদ্রিক মাছ এবং অধিক তেলযুক্ত মিঠাপানির মাছে আমিষ ও ভিটামিন-ডি ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এছাড়া এটি আমাদের মাথার চামড়াকে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার রস
চুল ঘন করার জন্য ঘৃতকুমারীর রস সবচেয়ে বেশি উপকারী। ঘৃতকুমারীর রস দিয়ে শরবত তৈরি করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি খুশকি দূর করে এবং মাথার খুলি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
দই
প্রোটিন, ভিটামিন বি ও ডি-সমৃদ্ধ দই চুলের ফলিকল উন্নত করে চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এটি চুল পড়া বন্ধে সহায়ক। এটি কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ডিম
চুলের জন্য উৎকৃষ্ট খাবার হলো ডিম। এতে রয়েছে বায়োটিন নামের বিশেষ উপাদান। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, জিংক, সেলেনিয়াম, সালফার ও আয়রন। তাই চুলের বৃদ্ধির জন্য ডিম বেশ কার্যকর।
ডাল
ডালে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, প্রোটিন, জিংক এবং বায়োটিন। এসব উপাদান আপনার মাথার ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন-সি যুক্ত ফল
লেবু, টমেটো এবং বিভিন্ন টকজাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি। এই ভিটামিন-সি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন করার কাজে কৈশিক-জালিকা বা সরু রক্তনালীকে সহায়তা করে। যা চুল ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
কলিজা ও মাংস
এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, যা চুলপড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রোটিনের একটি বড় উৎস হলো এসব খাবার । নতুন চুল গজাতে ও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে এগুলো।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন, যা সুস্থভাবে কোষের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন রয়েছে, তা চুলের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এটি মাথার ত্বকে খুশকি ও চুলকানি প্রতিরোধ করে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব খাবার নিয়মিতভাবে রাখার চেষ্টা করুন। উপরোক্ত পুষ্টিকর খাবার খেলে আপনার মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে, চুলপড়া কমবে এবং স্বাস্থ্যবান নতুন চুল গজাবে। এই সুন্দর চুলের সঙ্গে সঙ্গে আপনার সৌন্দর্য্ও বৃদ্ধি পাবে।
লেখাটি সম্পন্ন হয়েছে পুষ্টি বাড়ি অবলম্বনে।
এএইচ/টিআর