হৃদরোগ ও লিভারের সমস্যা দূর করে কফি
প্রকাশিত : ০৯:৫৯, ২৮ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১০:৪৫, ২৮ নভেম্বর ২০১৯
হজমের সমস্যার কারণে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। দীর্ঘদিন ধরে বিপাকীয় সমস্যার ফলে লিভারের রোগ এবং রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় কোলেস্টেরল জমে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় । গবেষকদের দাবি, প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় কফি পান করার অভ্যাস মেটাবলিক সিনড্রোম বা বিপাকীয় সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি যেমন অনেকটাই হ্রাস পায়, তেমনি লিভার সিরোসিসের সমস্যাও কমায় কফি।
সম্প্রতি ‘ইনস্টিটিউট ফর সাইন্টিফিক ইনফরমেশন অন কফি’ আয়োজিত আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অনুষ্ঠিত পুষ্টিবিদ বিশেষজ্ঞদের একটি সম্মেলনে অধ্যাপক জুসেপি গ্রসো দাবি করেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কফি পানের অভ্যাস রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে কমে যায় কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি। তাঁর মতে, কফি আসলে হজমের ক্ষেত্রে সহায়ক।
ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির ডঃ অলিভার কেনেডি এবং তাঁর গবেষক দল প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীর মধ্যে গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, যারা প্রতিদিন দু’ কাপ কফি পান করেন তাদের লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি প্রায় ৪৪ শতাংশ কমে যায়। ডঃ কেনেডির মতে, ফিল্টার্ড কফির উপকারিতা সেদ্ধ করা কফির তুলনায় অনেক বেশি। তবে শুধু লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমানোই নয়, লিভারের কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক রেখে যে কোন বিপাকীয় সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে কফি।
‘ইনস্টিটিউট ফর সাইন্টিফিক ইনফর্মেশন অন কফি’র গবেষকরা জানান, প্রতিদিন ১ থেকে ৪ কাপ কফি পানের অভ্যাস যে কোন কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। নিয়মিত কফি পানের অভ্যাস ব্রেনের জন্যও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত কফি পান করেন তাদের মধ্যে পার্কিনসন্সের মতো স্নায়ুরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম।
পুষ্টিবিদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফি খেতে হবে দুধ ও চিনি ছাড়া। তবেই শরীরের উপকার মিলবে।
এএইচ/