ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বিপদ কৃত্রিম চিনিতেও! 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১২, ১৭ নভেম্বর ২০২১

স্বাস্থ্য সচেতনতা বা বিশেষ করে ডায়বেটিস থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই সাধারণ চিনি বাদ দেন। আবার অনেকেই বিকল্প হিসেবে দ্বারস্থ হন কৃত্রিম চিনির। তবে এই কৃত্রিম চিনিও কি নিরাপদ? যারা এটি খাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই তা জানার প্রয়োজন বোধ করেন না।

ভারতের যাদবপুরের ফুড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রশান্ত বিশ্বাস জানাচ্ছেন কৃত্রিম চিনির খুঁটিনাটি।

সাধারণ চিনির তুলনায় মিষ্টি অ্যাসপার্টেম পরিমান বেশি থাকে কৃত্রিম চিনিতে; বিশেষ করে প্যাকেটজাত খাবার, ডায়েট পানীয়, জাঙ্ক ফুডে এই অ্যাসপার্টেম তুলনামূলক বেশি থাকে। আর বিপদটা এখানেই। 

কৃত্রিম চিনি বা অ্যাসপার্টেমযুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে মাথা যন্ত্রণা, অস্থিরতা, হৃদযন্ত্রের ধড়ফড়ানি, ওজন বৃদ্ধি, হতাশা, স্নায়ু ও মস্তিষ্কের সমস্যার উদ্ভব হতে পারে। 

এছাড়াও কৃত্রিম চিনিতে থাকে স্যাকারিন, যা গর্ভবতী নারীদের একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়। সাকারিন ইনসুলিনের নিঃসরণ ঘটায় এবং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে, যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। 

গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস না থাকলেও নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খেলেও ডায়াবেটিস হওয়ার শঙ্কা থাকে; বাড়ে ওজনও।

অন্যদিকে সাধারণ চিনির স্বাদের কাছাকাছিও নয় কৃত্রিম চিনি। ফলে মিষ্টি স্বাদ নেওয়ার ইচ্ছা থেকেই যায়। এতে ডায়াবেটিসে ভোগা ব্যক্তিরা বেশি ক্যালোরি খেয়ে ফেলেন, তাই আরও ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

কৃত্রিম চিনির হজম প্রক্রিয়াও আলাদা। ফলে ধীরে ধীরে রোগীর মেটাবলিজম কমে গিয়ে হজম, হৃদযন্ত্র ও  স্নায়ুর সমস্যা শুরু হতে পারে, উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।

মোদ্দা কথা, কৃত্রিম চিনিতে উপকারের চেয়ে অপকারের দিকটিই বেশি। খুব প্রয়োজন হলে অল্প পরিমাণে সাধারণ চিনি খাওয়াই ভালো। 

তবে কৃত্রিম চিনি একান্তই খেতে হলে তা থেকে শরীরে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে কিনা তা যাচাই করে নেওয়া উচিত। 
পাশাপাশি সারাদিনে তিন গ্রামের বেশি কৃত্রিম চিনি খাওয়া উচিত নয়। 

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

আরএমএ

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি