ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

শরীরের সুস্থতায় যত্ন নিন মানসিক স্বাস্থ্যের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

কথায় বলে ‘মন ভালো তো সব ভালো!’ অর্থাৎ মন ভালো থাকলে অনেক কঠিন অসুখ নিয়েও সুস্থ থাকা যায়। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সঙ্গে মনের যোগাযোগ খুব ভালো। তাই শারীরিক অসুস্থতার পেছনে মনেরও ভূমিকা আছে। কিন্তু আমরা সাধারণত যে কোনও রোগে সেই রোগের উৎপত্তিস্থল অর্থাৎ মনের চিকিৎসা করি না। ফলে গোড়া থেকে রোগ নির্মূল সম্ভব হয় না। 

শরীরের সঙ্গে মনের সংযোগ

মনোবিদদের মতে, শরীর এবং মন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। শরীর যখন মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেয় তখন প্রাথমিক অবস্থায় শরীর কথা বলতে না পারলেও মাতৃস্পর্শ থেকে শুরু করে সবকিছুই মন বুঝতে পারে। তাই শারীরিক সব রোগের উৎপত্তি হয় মানসিক স্তর থেকে। মনের স্তরকে দেখা যায় না বলে আমরা শারীরিক রোগের বাহ্যিকভাবে চিকিৎসা করি।

আসলে মানুষের যে কোনও অসুস্থতা মানসিক স্তর থেকে শারিরীক স্তরে আসে এবং তারপরে প্যাথোলজিক্যাল স্তরে আসে। অর্থাৎ মন থেকে কোনও অসুখের সূত্রপাত হয়ে শারীরিক পর্যায়ে আসে এবং শেষে সেই শারীরিক স্তর থেকে আমাদের শরীরে বিভিন্ন গঠনগত প্যাথোলজিক্যাল পরিবর্তন আসে। 

যেমন ধরুন কারও যদি ক্যানসারের টিউমার হয় তাহলে শরীরের এই পরিবর্তন চোখে পড়ে অথবা পরীক্ষায় সিস্ট ধরা পড়ে। কিন্তু আসলে এই রোগের উৎপত্তি অনেক আগেই মানসিক স্তরে হয়ে যায়। তাই রোগের উৎপত্তির চিকিৎসা না করলে রোগ পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়।

আগে মন ভালো রাখুন

বিশেষজ্ঞদের মতে, মন ভালো না থাকলে যেমন অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়, আবার এর উল্টোটাও  হতে পারে। অর্থাৎ দীর্ঘকালীন শারীরিক অসুস্থতা ও চিকিৎসা রোগীর চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই অসুস্থ হলে শরীরের যত্নের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে। 

এটি প্রমাণিত যে দীর্ঘদিন মানসিক উদ্বেগে ভুগলে গ্যাস্ট্রিক ছাড়াও শরীরে টিউমার হতে পারে। অর্থাৎ মানসিক চিন্তা ডেকে আনে অন্যান্য অসুখকে। তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকা বা সবসময় হাসি-খুশি থাকা খুবই জরুরি। কারণ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে গেলে যে কোনও রোগের মোকাবিলা করা দুষ্কর হয়ে ওঠে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এমএম/এসবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি