ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ইনহেলার ব্যবহারে কী নেশা হতে পারে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫১, ১৩ জানুয়ারি ২০২২

শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা মানুষকে অনেক কষ্ট দেয়। এরমধ্যে অ্যাজমা বা সিওপিডির মতো রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অন্যতম হাতিয়ার হল ইনহেলার। যদিও আমাদের দেশে এই ইনহেলারকে নিয়ে নানা ধরনের মত চালু রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই এই জীবনরক্ষাকারী ওষুধটি সম্পর্কে নানা ভুল ধারণা মনে পুষে রেখেছেন। যদিও এই ধারণাগুলো একদমই সত্যি নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, ইনহেলার হল হাঁপানির চিকিৎসার মোক্ষম চিকিৎসা। তাই এটি নিয়ে কোন ভুলভ্রান্তি মনে রাখা যাবে না।

চলুন ইনহেলার নিয়ে কী কী ভুল ধারণা রয়েছে..

> অনেকেই মনে করেন ইনহেলার একসময় নেশার মত হয়ে যায়। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। কারণ অ্যাজমা হল একটি ক্রনিক রোগ। এই রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ইনহেলার নিতে হয়। অ্যাজমা সম্পূর্ণভাবে সারে না। ইনহেলার ব্যবহারের মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় মাত্র। ইনহেলার অ্যাজমা আক্রান্তদের সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করে দেয়। আবার লং টার্ম ইনহেলরাও রয়েছে। এই ইনহেলার আপনার সমস্যাকে দীর্ঘমেয়াদে সারাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে নেশার কোনও বিষয় নেই। যেমন মানুষ ডায়াবিটিস, প্রেশারের ওষুধ সারা জীবন ধরে খেয়ে যান। তেমনই শ্বাসের অসুখ থাকলেও ইনহেলার নিতে হবে।

> অনেকেই মনে করেন, ইনহেলারে থাকা স্টেরয়েডে শরীরের পক্ষে ভীষণ খারাপ। যদিও বিষয়টা একেবারেই তেমন নয়। ইনহেলারের মধ্যে স্টেরয়েড থাকে নামমাত্র। এক একটি ডোজের নিরিখে তা মিলিগ্রামে হিসেব হয়। এইটুকু স্টেরয়েড আপনার কোন ক্ষতি করতে পারে না। বরং স্টেরয়েড সমস্যা কমাতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

>অনেকের ধারণা, ওষুধ খেলে ইনহেলারের থেকে বেশি লাভ হয়। এই নিয়ে সব মহলেই ছিল তুমুল বিতর্ক। এক্ষেত্রে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মুখে খাওয়ার ওষুধ শ্বাসকষ্ট কমানোর ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি কাজ দেয় না। ইনহেলার এই বিষয়ে অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ ওষুধ প্রথমে পেটে যায় তারপর শুরু করে কাজ। কিন্তু ইনহেলার সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। ফলে সরাসরি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে কাজ শুরু হয়ে যায়। এমনকী ওষুধের থেকে ইনহেলারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক কম।


> অনেকের ধারণা অ্যাজমার বড়সড় সমস্যায় ইনহেলার আর কাজ করে না। এটি একেবারেই ভুল তথ্য। ইনহেলার শুধু তাৎক্ষণিক সমস্যাই নয়, বরং সারাজীবন অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে যে কোন রকম অ্যাজমায় কাজ করতে পারে ইনহেলার। তবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। তবেই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে।

> অনেকের ধারণা অ্যাজমা পুরোপুরি সেরে যায়। না, একেবারেই ভুল তথ্য এটি। অ্যাজমা হল একটি ক্রনিক রোগ। এই রোগ সম্পূর্ণ সারে না। মাঝেমাঝে এই রোগ মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। তবে ভয় কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে সহজেই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

সূত্র: এই সময়
এমএম/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি