ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

এই ৬ ভুলেই নারীদের হৃদরোগ বাড়ছে!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

হার্ট হল শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটি রক্তকে পাম্প করে শরীরের প্রতিটি অংশে পৌঁছে দেয়। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের হার্টের খেয়াল রাখা। যদিও নারীদের হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। বিশেষত, মেনোপজের আগে নারীদের হার্টের সমস্যা হয় না বললেই চলে। কারণ এই সময়টায় নারীদের শরীরে এমন কিছু হর্মোন কার্যকরী থাকে যা হার্টকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়াও নারীদের এমনিতেও হার্টের সমস্যা হয় কম।

তবে কয়েনের উল্টা পিঠও রয়েছে। এক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীদের হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে নারীদের প্রায় ২০ শতাংশ বেশি থাকে হার্ট ফেলিওরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা। এছাড়া একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পুরুষের তুলনায় নারীদের জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। তাই নারীদেরও এই সমস্যা থেকে দূরে থাকার পথ জানতে হবে।

হৃৎপিণ্ডের যত্নে নারীরা এই ভুলগুলো করেন-

> নারীদের মধ্যে ধূমপানের মাত্রা যথেষ্ট কম। তবে বর্তমানে এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর এই ফল ভোগ করছে হার্ট। ধূমপানের প্রভাবে কম বয়সেও নারীরা হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সতর্ক থাকতেই হবে।

> একজন নারী সারাদিনে অনেক দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা নিজেদের জন্য সময়ই খুঁজে বের করতে পারেন না। এই কারণে ব্যায়ামও করা হয় না। আর এই ব্যায়ামের অভাবে শরীরে দেখা দেয় মারাত্মক সমস্যা।

> বহু নারীরাই নিজের ওজনের ব্যাপারে ভীষণই উদাসীন। ফলে অনেকেরই ওজন থাকে বেশি। বিশেষত, বয়স বাড়লে ওজন বাড়ে। আর ওজন বাড়লে বাড়ে হার্টের রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা।

> নারীদের জীবনে থাকে হরেক রকম দুশ্চিন্তা। তারা একাধিক সমস্যা নিজেদের মনে বয়ে নিয়ে চলেন। ফলে দেখা দেয় সমস্যা। এই কারণে শরীরে এমন কিছু হর্মোন নির্গত হয় যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। এছাড়া ঘুম না হওয়াও এক্ষেত্রে মস্ত বড় অনুঘটক হতে পারে। তাই দিনে ৭ ঘণ্টার শান্তির ঘুম খুব প্রয়োজন।

> নারীরা নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি তেমন আমল দেন না। ফলে হেলথ চেকআপের কোনও প্রয়োজন মনে কনেন না। এজন্য শরীরে কোন সমস্যা বাসা বাধলেও চেকআপ না করার কারণে রোগ সম্বন্ধে জানা যায় না।

> হার্টের সমস্যার লক্ষণ প্রথমেই খুব জোরদারভাবে দেখা দেয় না। এক্ষেত্রে বুকে সামান্য ব্যথ, বমি পাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদে তা ঠিক হয়ে যায়। তবে অনেকেই এই লক্ষণগুলিকে তেমন আমল দেন না। ফল ভোগ করে শরীর।

সূত্র: এই সময়
এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি