ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

গরমে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খাচ্ছেন? কী ক্ষতি হচ্ছে জেনে নিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৮, ২২ মার্চ ২০২২

চৈত্রের খড়া প্রায় অতিষ্ঠ করে তুলছে জনজীবন। মাথার উপর সূর্যের চড়া রোদ। বাইরে বেরোনোর কথা শুনলেই গায়ে ফোস্কা পড়ার ভয়ে কেঁপে উঠছে মন। তবে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য বা বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোতেই হয়। কাজ সেরে বাড়ি ফিরেই হাত চলে যায় ফ্রিজে সাজানো ঠাণ্ডা পানির বোতলে। গলায় তা ঢাললেই যেন শান্তি।

কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, রোদ থেকে ঘুরে এসে ঢক ঢক করে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে জন্য একেবারেই ভাল নয়। এতে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও শরীরের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

গরমের মধ্যে থেকে এসে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। হঠাৎ করে শরীরের ঠাণ্ডা পানি প্রবেশ করার ফলে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।

শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মার একটা অতিরিক্ত আস্তরণ তৈরি হয়। যার শ্বাসযন্ত্রজনিত বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়।

চিকিৎসকের মতে, গরম থেকে ফিরেই পানি খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।

শরীরের ঘাম শুকিয়ে এলে তারপর সাধারণ পানীয় পানি খাওয়া যেতে পারে। পানির পরিবর্তে কেউ চাইলে ডাবের পানিও খেতে পারেন। ডাবের পানি শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করবে।

গরমে সব সময় শরীর ঘামতে থাকে। শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। ফলে শীতের তুলনায় গরমে বেশি দুর্বল লাগে।

শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে ও দুর্বলতা কাটাতে খেতে পারেন বিভিন্ন ফলের রস। গ্রীষ্মে লিচু, আঙুর, তরমুজ, আম, জামরুলের মতো অনেক রসালো ও পানি সমৃদ্ধ ফলে বাজার ছেয়ে থাকে।

এগুলো দিয়ে ফলের রস বানিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়াও গ্রীষ্মে শরীর সুস্থ রাখতে রোজ সকালে খালি পেটে খেতে পারেন আমলকির রস। শরীরের যত্ন নিতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। গ্যাস, হজমের সমস্যার চটজলদি সমাধান রয়েছে আমলকিতে।

সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন

আরএমএ
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি