বস বললেও দীর্ঘসময় অফিসে নয়!
প্রকাশিত : ১৫:৩০, ৭ জানুয়ারি ২০২৩
এ পি জে আবদুল কালাম। পারমানবিক বিজ্ঞানী। দায়িত্ব পালন করেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবেও। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে ছিলেন তিনি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়।
অফিস সময় নিয়ে তিনি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যা কর্মী ও বস উভয়েরই মনে রাখা প্রয়োজন। তিনি বলেন-
- কাজ হল এমন একটি নিরন্তন প্রক্রিয়া যা কখনই শেষ করা যায় না।
- কাস্টমারদের স্বার্থ দেখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ পরিবারকে সময় দেয়া।
- বিপদে পরলে আপনার বস/ক্রেতা কেউই সাহায্যের হাত হারাবে না; আপনার পরিবার ও বন্ধুরাই আপনার জন্য এগিয়ে আসবে।
- জীবন শুধু কাজ, অফিস আর ক্রেতা নিয়েই নয়; জীবন আরও অনেক মূল্যবান কিছুর সমষ্টি ‘সামাজিকতা’ আরাম ও আয়েস এবং ব্যায়ামের জন্য আপনার সময় বের করা জরুরী; জীবনটাকে অর্থহীন করবেন না।
- যে ব্যক্তি অফিস সময়ের পরেও দীর্ঘসময় অফিসে কাজ করে সে আসলে পরিশ্রমী নয়; সে এতটাই বোকা যে সে নির্ধারিত সময়ে কাজ গুছিয়ে উঠতে পারে না। সে জীবন থেকে কিছু অর্জন করতে পারে না; কারণ তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন বলতে কিছু নেই। সে তার কাজে অদক্ষ ও অকর্মণ্য।
- জীবন সংগ্রাম ও কষ্ট করে লেখা পরা করেছেন কি নিজেকে মেশিনে পরিনত করার জন্য?
- যদি আপনার বস আপনাকে বাধ্য করে; অফিস থেকে দেরি করে ফিরতে, তবে বুঝতে হবে তিনিও অদক্ষ; আর তার জীবনটাও অর্থহীন।
মোট কথা- যথা সময়ে অফিস থেকে বের হওয়ার অর্থ: দক্ষ, সুন্দর ও সামাজিক জীবন, উন্নত পারিবারিক জীবন।
আর দেরি করে অফিস থেকে বের হওয়ার অর্থ: অদক্ষ ও অকর্মণ্য, কোন সামাজিক জীবন নেই, কোন পারিবারিক জীবন নেই।
তবে কাজকে ভালোবাসতে হবে; কোম্পানিকে নয়। কেননা আপনি জানেন না, ঠিক কখন কোম্পানীটি আপনাকে আর ভালোবাসবে না।
এসএ/