বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপি চতুর্থ খণ্ড প্রকাশিত
প্রকাশিত : ২১:৪৮, ৯ জানুয়ারি ২০২৩
সম্প্রতি ধানমন্ডির ওমেন ভলান্টিয়ারি এসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না, ১০০ রেসিপি চতুর্থ খণ্ড বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হলো নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড ও আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে।
অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে- টপার কিচেনওয়্যার এবং সেভরি ফুড লিমিটেড। সারাদেশের ৪০ জন রন্ধনশিল্পীকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সম্মাননা।
প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, এমপি, বিশেষ অতিথি জাকিয়া পারভীন খানম মনি, এমপি, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান মারুফ, বাংলাদেশ কুকিং এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ও রন্ধনশিল্পী মেহেরুন্নেসা।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রন্ধনশিল্পী তানিয়া শারমিন, নেক্সাস টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নির্মাতা রানা ইসলাম, অনুষ্ঠান নির্মাতা ফাহদ হোসেন, এনটিভিন অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা, সিনিয়র প্রযোজক মো: নূরুজ্জামান।
টপার কিচেন এর পক্ষে বক্তৃতা করেন- প্রাণআরএফএল গ্রুপের সহকারি ব্র্যান্ড ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম শাকিল, সেভরি ফুড লিমিটেড এর এজিএম সুমন হালদার।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শারমিন সেলিম তুলি। বক্তৃতায় তিনি বলেন- ‘বাংলাদেশের তৃণমূলে যে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে তার প্রমাণ আজকের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নারীরা। তারা শুধু নিজেরা পরিশ্রম করে রেসিপি সংগ্রহ করে বসে থাকেনি, তা প্রকাশ করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আয়োজন করেছেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাকিয়া পারভীন খানম মনি, এমপি বলেন- ‘বাংলাদেশের নারীরা রান্নাকে শিল্পের মর্যাদা দিয়েছেন আগেই। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, বর্তমানের নারীরা রান্নাকে লাভজনক ব্যবসায় রূপান্তর করেছেন।’
ব্যবসায়ী হাসান মারুফ বলেন- এতজন রন্ধনশিল্পীর উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালি করবে।
প্রধান অতিথির বক্তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন- ‘শুধু লাভের চিন্তা না করে খাবারের যথাাযথ মান বজায় রেখে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে খাবাবের ব্যবসার সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীরা বিশেষ ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও দর্শকবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বইটির সম্পাদক হাসিনা আনছার বলেন- ‘ সারাদেশের রন্ধনশিল্পীদের অংশ গ্রহণের কারণে এরকম একটি আয়োজন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি আগামীতে আমরা আরও ভালো রেসিপি সংগ্রহ করে নতুন খণ্ড প্রকাশ করা হবে।
প্রকাশনা উৎসবে নারীদের উদ্যোগ ও অর্জনের পথে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ৪০ জন রন্ধনশিল্পী, অনুষ্ঠান প্রযোজক, বিজ্ঞাপণ নির্মাতা ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।