ঠাণ্ডায় পানিশূন্যতা দূর করবে এই ৫ পানীয়
প্রকাশিত : ২১:২৩, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে তৃষ্ণার অনুভূতি খুবই কম থাকে। ফলে সারা দিনে পানি খাওয়ার পরিমাণও অনেক কমে যায়। ফলে শীতকালেও কিন্তু আপনি ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে পারেন। পানির ঘাটতির কারণে ত্বক, মাথার চুল ও নখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শারীরিক কার্যকলাপেও সমস্যা দেখা দেয়। তাই, জাঁকিয়ে শীত পড়লেও পানি পানে একটুও ঘাটতি না রাখাই ভালো।
তবে শুধু পানি পান করতে ভালো না লাগলে নানা রকমের স্বাস্থ্যকর পানীয় বানিয়ে খেতে পারেন। ঘরে থাকা খুব সাধারণ উপাদান দিয়েই বানাতে পারেন বিভিন্ন হেলদি ড্রিঙ্কস।
দেখে নিন, শীতকালে জন্য সেরা ৫ স্বাস্থ্যকর পানীয়...
ভেষজ চা
শীতের মৌসুমে উষ্ণতা পেতে এক কাপ গরম চায়ের তুলনা নেই। এক কাপ চা নিমেষেই শরীর চাঙ্গা করতে পারে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ঘন ঘন চা পান কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? শরীরে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। গ্যাস, অম্বল, অস্থিরতা, অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে কি চা পান একেবারেই ছেড়ে দেবেন ভাবছেন? না তার কোনও প্রয়োজন নেই! বরং আরও স্বাস্থ্যকর উপায়ে চা বানিয়ে পান করতে পারেন। রান্নাঘরে থাকা খুব সাধারণ উপাদান দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন স্বাস্থ্যকর ভেষজ চা। ভেষজ চা শরীর হাইড্রেট রাখে, শরীর থেকে টক্সিন বের করে, পেটের গোলমালও দূর হয়। নিয়মিত এই চা পান করলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। আদা, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসি দিয়ে বানানো চা খেতে পারেন। এ ছাড়া, জবা, গোলাপ এবং ক্যামোমাইল চাও খেতে পারেন।
স্যুপ
শীতের হিমেল হাওয়ায় গরমাগরম এক বাটি স্যুপ হলে আর কি চাই! আলু, গাজর, বিনস, মটরশুঁটি, টমেটো, মাশরুম এবং অন্যান্য সবজি দিয়ে ভেজিটেবিল স্যুপ বানাতে পারেন। পালং শাকের স্যুপও খেতে পারেন। শরীর হাইড্রেট রাখতে স্যুপের জুড়ি মেলা ভার, পাশাপাশি হজমেও সহায়তা করে।
গ্রিন জুস
গ্রিন জুসে প্রচুর শাকসবজি থাকে। ভিটামিনে পরিপূর্ণ এই জুস নিয়মিত পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, শরীরে তরলের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে এবং হজম শক্তি উন্নত করে।
হলুদ দুধ
হলুদ দুধের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে উষ্ণ রাখে এক গ্লাস হলুদ দুধ, এর পাশাপাশি ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবচেয়ে কার্যকরী হলুদ দুধ। যারা ঘন ঘন সর্দি, কাশি, জ্বরে ভোগেন, তাদের জন্য হলুদ দুধ দারুণ উপকারি। এ ছাড়াও, গ্যাস, পেট ফাঁপা ও বদহজম কমাতেও পান করতে পারেন হলুদ দুধ।
লেবু পানি
এক গ্লাস গরম পানিতে এক চিমটি রক সল্ট আর লেবুর রস মিশিয়ে খেলেই হাজারো উপকারিতা পাবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু পানি শরীর হাইড্রেট করে, হজমে উন্নতি করে এবং পেট ভার কমায়। লেবু পানি পটাশিয়ামের দুর্দান্ত উৎস, যা শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লেবু পানিতে থাকা পেকটিন, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্ষুধা কমায়।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এমএম/