শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, শরীরও ভালো রাখে গুড়
প্রকাশিত : ০৯:২৬, ২০ জানুয়ারি ২০২৩
শীত পড়তে না পড়তেই বাঙালি উৎসুক হয়ে থাকে খেজুরের গুড়ের জন্য। আর পায়েসে যদি খেজুরের গুড় দেওয়া হয় তাহলে তো তার স্বাদই বদলে যায়। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি গুড় কিন্তু আমাদের শরীরেরও খেয়াল রাখে। তাই, স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে গুড়ের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরাসরি গুড় খাওয়ার চেয়ে যদি অন্যভাবে গুড় খাওয়া যায়, তাহলে বাড়তি উপকার পাওয়া যেতে পারে।
তাহলে চলুন জানা যাক কীভাবে গুড় খেতে হবে...
গুড়ের দুধ
চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন এক গ্লাস দুধে গুড় মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া, গুড়ের দুধ পিরিয়ডের সময় পেটের ব্যথা উপশম করে এবং পাচনতন্ত্র ভালো রাখে।
গুড়ের হালুয়া
হালুয়ায় চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। গুড় ব্যবহারে হালুয়ায় স্বাদ যেমন দ্বিগুণ হবে, তেমনি খাবারে আয়রনের পরিমাণও বাড়াবে। বিশেষ করে, আলুর হালুয়ায় গুড় ব্যবহার সবচেয়ে ভালো কম্বিনেশন। আর, আলুতেও প্রচুর খনিজ থাকে। গুড়ের হালুয়ায় বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস যেমন- পেস্তা, আমন্ড, কাজু, কিশমিশ মেশাতে পারেন।
গুড়ের পানি
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে গুড়ের পানি অতুলনীয়। নিয়মিত সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে গুড় মিশিয়ে খেলে তা পেটের জন্য দারুণ উপকারি। সকালে সহজভাবে মলত্যাগে সাহায্য করে গুড় পানি। গ্যাস, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথার সমস্যা দূর হয়। ফুসফুস এবং অন্ত্রের জন্য এটি ডিটক্সিফায়ার হিসেবেও কাজ করে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বাইরে বের করতে পারে গুড়ের পানি। প্রতিদিন গুড়ের পানি খেলে ইমিউনিটিও শক্তিশালী হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
গুড় তিল লাড্ডু
সাদা তিলের সঙ্গে গুড় ও ঘি দিয়ে লাড্ডু তৈরি করুন। তিলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান। তিলের বীজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং উচ্চ রক্তচাপ, খারাপ কোলেস্টেরল, উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। যাদের শরীরে ভিটামিন ডি, বি ১২, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তারা তিলের নাড়ু বা লাড্ডু খান। তিলে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যায় এটি খুবই উপকারী। গুড়ের মধ্যে রয়েছে আয়রন, কপার, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান। এটিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে পারে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এমএম/