শরীরের যত্নে ঘুম
প্রকাশিত : ১০:৫১, ২২ জানুয়ারি ২০২৩
ঘুম হল দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুমের সময় সচেতন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। ঘুম শরীরকে চাঙ্গা করে পরবর্তী দিনের কাজের জন্য আমাদের তৈরি করে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
ঘুমের ক্ষেত্রে শরীর সুস্থ রাখতে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। অন্যদিকে সব বয়সের মানুষের জন্য ঘুমের সময়ের মাঝেও আছে পার্থক্য। যাদের বয়স ৬ থেকে ৯, তাদের কমপক্ষে ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন; যাদের বয়স ১০ থেকে ১৭, তাদের প্রয়োজন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা আর যারা বয়ঃসন্ধিকাল পার করছেন, তাদের ১১ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে ১১ ঘণ্টার বেশি কখনই ঘুমানো উচিত না, এতে করে উল্টা ঘটনাও ঘটতে পারে আপনার শরীরে।
অন্যদিকে যাদের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয় তারা দিনের একটি সময় ঘুমিয়ে তা পুষিয়ে নেন। এতে করে রাতের ঘুমে আরও ব্যাঘাত ঘটে। তাই দিনের বেলা না ঘুমিয়ে রাতে নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘুমানোর রুটিন তৈরি করুন। এছাড়া রাতে ঘুমানোর ঘণ্টা দুই আগে থেকে মোবাইল কিংবা টেলিভিশন দেখা বন্ধ রাখুন। মোবাইল বা টিভি থেকে যে নীল আলো বের হয়, তাতে ঘুমের মেলাটোনিন নামক হরমোন উৎপাদনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে অনেকেরই চা-কফি পান করার অভ্যাস আছে ঘুমের আগে। আপনি যদি তেমনি কেউ হয়ে থাকেন, তবে আজকেই এ অভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত করুন। ঘুমানোর আগে চা কিংবা কফি পান করলে এতে থাকা ক্যাফেইন ঘুম কমাতে কাজ করে। ঘুমানোর আগে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। এতে ভালো ঘুম হয়। এছাড়া বর্তমান করোনাকালীন অনেকেই ঘরে সময় কাটাচ্ছেন। এতে করে একঘেয়েমি ভর করছে আপনার ওপর। তাই ঘুমানোর আগে একটু আশপাশে থেকে হেঁটে আসতে পারেন। হালকা ব্যায়াম অথবা ইয়োগাও ঘুমের ক্ষেত্রে খুব কার্যকর।
ঘুমানোর আগে বিছানা গুছিয়ে নেয়া ও পর্যাপ্ত বাতাস আর চারপাশ অন্ধকার আছে কিনা- এ বিষয়ের ওপরও নজর রাখা আবশ্যক। ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে বইপড়ার অভ্যাসও ঘুম আসার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর।
ঘুম শরীর ও মন- দু’ক্ষেত্রেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ঘুম যেমন আপনাকে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও অবসাদ থেকে দূরে রাখবে, তেমনি আপনাকে রাখবে সারা দিন ফুরফুরে মেজাজে আর মানসিকভাবেও সুস্থ আর হাস্যোজ্জ্বল।
এমএম/