মুখের দুর্গন্ধ দূর করুন সহজ উপায়ে
প্রকাশিত : ২২:১৭, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২১:২৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
কর্মব্যস্ততামুখর এই জীবনে নিজের শরীরের জন্য হয়তো খুব একটা সময় রাখাই হয়না আপনার। যত্ন নেওয়া হয়না দাঁত ও মুখের। কিন্তু এই সামান্য অযত্নের ফলে বাড়তে থাকা মুখের দুর্গন্ধ যা আপনার সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ফেলতে পারে অনেক খারাপ প্রভাব। আর তাই খুব কম কষ্টে কি করে স্বাস্থ্যকর নিঃশ্বাসের অধিকারী হওয়া যায় জেনে নিন সে কৌশল।
মুখের দুর্গন্ধ দু’রকমের হতে পারে। স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী। স্বল্প সময় ধরে থাকা মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। এসময় সামান্য কষ্ট করলেই আপনি দুর করতে পারেন এই ঝামেলাকে। সেগুলো হল- অধিক পানি পান করা, দাঁত ব্রাশ করা, চিনিবিহীন চকোলেট অথবা চুইঙ্গাম খাওয়া। কিন্তু এটা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সমস্যায় পরিণত হয়ে থাকে তাহলে নিচের কাজগুলো আপনাকে ভালো ফল দিতে পারে। যেমন- দিনে দু’বার (সকালে ও রাতে) কমপক্ষে দুই মিনিটের জন্য ব্রাশ করা।
ব্রাশ করার সময় কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। যেমন ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রাশ ব্যবহার করা, প্রতি তিন-চার মাস অন্তর ব্রাশ বদলে ফেলা, মুখের প্রতিটি কোনায়, বিশেষ করে মাড়িতে ভালোভাবে ব্রাশ করা, জুস খাবার ৩০ মিনিটের মধ্যে ব্রাশ না করা, প্রয়োজন পড়লে জিব্বা পরিষ্কার করার জন্য টাঙ ক্লিনার ব্যবহার করা ইত্যাদি। যেসব খাবার মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া উত্পাদন করে সেগুলোকে এড়িয়ে চলা। নিয়ম মেনে খাওয়া। যেমন- এলকোহল, সিগারেট, পেয়াজ, রসুন, মাছ ইত্যাদি।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন-
খাবার আগে বা অন্তত আধা ঘণ্টা পর প্রচুর পানি পান করুন। দীর্ঘক্ষণ পানি পান না করলে মুখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয় এবং এতে করে দুগর্ন্ধ দেখা দেয়। শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধকারী স্যালিভা উৎপন্ন করার জন্যে পানি পান করা জরুরি। তবে খেয়াল রাখবেন, পানি আপনি পান করছেন তা যেন অবশ্যই পরিষ্কার ও ফ্লোরাইড মুক্ত হয়। যেহেতু স্যালিভা অক্সিজেনে পরিপূর্ণ, সেহেতু অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে তাদের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এটি প্রাকৃতিক এনজাইমে ভরপুর যেটি কিনা ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য যখন আপনি পানি, মাউথওয়াশ কিংবা অন্যান্য হাইজিন সামগ্রী ব্যবহার করেন তখন বিভিন্ন অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করুন
আপনি গলা এবং টনসিল থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্যে লবন-পানি দিয়ে গার্গল বা কুলকুচি করতে পারেন। হিমালয়ান ক্রিস্টাল লবণ এক্ষেত্রে বেশ উপকারী। সেটি হাতের নাগালে না পেলে আপনি সাধারণ সোডিয়াম ক্লোরাইড লবণ (খাবার লবন) দিয়েও এটি করতে পারেন। পানি যেন হালকা গরম থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এভাবে কুলকুচি করলে আপনি অনাকাঙ্ক্ষিত ঠাণ্ডার হাত থেকেও রক্ষা পাবেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস বদলে ফেলুন
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস করুন, বিশেষ করে খাওয়ার পরে। বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মেজেছেন কখনো? এটি কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। ছয় মাসে অন্তুত একবার ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত পরীক্ষা করান। তার দেওয়া সাজেশন সমূহ খুব ভালো মতন অনুসরণ করুন।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ ব্যাপারটি দারুণ অস্বাস্থ্যকরও বটে। আশা করছি উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে উপকার পাবেন আপনি।
কেআই/ডব্লিউএন