ঈদ লাইফস্টাইল পর্ব-৩
ঈদে দেশীয় শাড়ির সমাহার টাঙ্গাইল শাড়ি নিকেতনে
প্রকাশিত : ২২:৫২, ৩১ মে ২০১৮ | আপডেট: ১১:২৪, ৩ জুন ২০১৮
ঈদ আসতে আর খুব বেশিদিন বাকি নেই। ঈদে নারীদের পোশাকের তালিকায় উপরের দিকে থাকে শাড়ি। অনেকেই আবার দেশীয় তাঁত ও টাঙ্গাইলের শাড়ি পছন্দ করেন। যানজটে স্থবির ব্যস্ততম রাজধানী ঢাকা শহরে তাই বিপনী বিতানগুলোতে না গিয়ে দেশীয় শাড়ি কিনে নিতে পারেন অনলাইনেই। আর এরজন্য এফ-কমার্স ভিত্তিক ‘টাঙ্গাইল শাড়ি নিকেতন’ থাকতে পারে আপনার পছন্দের তালিকায়।
টাঙ্গাইল শাড়ি নিকেতনে দেশীয় তাঁত ও সিল্কের শাড়ি পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলার ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের শাড়ির কালেকশন সবথেকে বেশি। এই অনলাইন শপে যেসব শাড়ি পাওয়া যায় তাঁর দাম সর্বনিম্ন ৮৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।
সুতি টাঙ্গাইলের শাড়িগুলোর দাম ৮৫০ টাকা। গ্যাস কটনের টাঙ্গাইলের শাড়ির দাম পরবে ১০৫০ টাকা। এছাড়াও টাঙ্গাইল শাড়ি নিকেতনে আছে হাতে বোনা তাঁত, সিল্ক ও জামদানি শাড়ি। শাড়ির কাপড় ভেদে প্রতিটির আবার আছে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরি।
গ্যাস সিল্ক শাড়িগুলোর দাম ১৪৫০ টাকা থেকে শুরু। গ্যাস সিল্ক ও হাফ সিল্কের শাড়ি দাম শুরু হয় ১৫০০ টাকা থেকে। এসব শাড়ির সর্বোচ্চ দাম আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। আর পিউর সিল্কের শাড়ি পাওয়া যায় ২৩৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কাতান সিল্কের শাড়িগুলোর মূল্য চার হাজার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে।
জামদানি ও এক সময়ের বাংলার ঐতিহ্য মসলিনের শাড়িও পাওয়া যায় এখানে। তবে মসলিনের মধ্যে যে শাড়িগুলো এখন পাওয়া যাচ্ছে তা মূলত মসলিনের বর্তমান সংস্করণ। টাঙ্গাইল শাড়ি নিকেতনে সুতি জামদানি শাড়ি পাওয়া যায় দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। হাফ সিল্ক জামদানি পাওয়া যায় আড়াই থেকে সাড়ে চার হাজার টাকার মধ্যে। সিল্কের জামদানি শাড়িগুলোর মূল্য পাঁচ থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়াও তশর সিল্কের উন্নতমানের জামদানি শাড়িগুলোর মূল্য ছয় হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।
পাশাপাশি মসলিনের শাড়ির দাম পরবে সাত হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে। এসব মসলিনে আছে হাতে কাজ করা নকশার কারুকাজ। শাড়ির পাশাপাশি সুতি, সিল্ক ও জামদানি কাপড়ের থ্রী-পিসও পাওয়া যায় এই ই-শপে। এসব থ্রী-পিস আনস্টিচ হওয়াতে অর্ডারের পর নিজেদের চাহিদামতো বানিয়ে নিতে পারবেন গ্রাহকেরা।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও নারী উদ্যোক্তা টুম্পা ঘোষ বলেন, “শুরু থেকেই দেশীয় পণ্যের ওপর আমার এক ধরণের দুর্বলতা কাজ করত। আমি স্বপ্ন দেখি যে, আমাদের দেশের সবাই দেশীয় পণ্য ব্যবহার করবে। সেই স্বপ্ন থেকে ২০১৫ সালে প্রথমে ফেসবুকে এই পেইজটি খুলি আমি। তবে চলতি বছর বড় পরিসরে দেশীয় তাঁতের শাড়ি নিয়ে আমি কাজ শুরু করি। শুরু থেকে গ্রাহকদের আশানুরূপ সাড়াও পাচ্ছি যা আমাকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে”।
এবারের ঈদ কালেকশন নিয়ে টুম্পা ঘোষ বলেন, “এবারের ঈদ যেহেতু গরমের সময়ে হচ্ছে তাই আমরা চেয়েছি এমন কিছু শাড়ি গ্রাহকদের জন্য আনতে যা গরমে নারীদের পরিধানে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিবে। সবধরন ও শ্রেণীর গ্রাহকদের কথা বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন দামের শাড়ি এবারের কালেকশনে এনেছি আমরা”।
টাঙ্গাইল শাড়ি নিকেতনের প্রতিটি শাড়ি উন্নত দেশীয় কাঁচামাল থেকে তৈরি করা হয় বলে জানান টুম্পা ঘোষ। এছাড়াও প্রতিটি শাড়ি গ্রাহকের কাছে পৌছানোর আগে যথাযথভাবে এর মান যাচাই করা হয় বলেও দাবি করেন এই নারী উদ্যোক্তা।
টাঙ্গাইল শাড়ি নিকেতনে অর্ডার দেওয়ার দুই দিনের মধ্যে ‘হোম ডেলিভারি’তে ক্রেতা তাঁর বাড়িতে পণ্যটি পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে পণ্য দেখে দাম পরিশোধের (ক্যাশ অন ডেলিভারি) সুবিধাও রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ ‘বাবার রাজকন্যা’র সদস্যরা সবধরনের শাড়িতে পাবেন ৫ শতাংশ মূল্য ছাড়।
টাঙ্গাইল শাড়ি নিকেতনের ফেসবুক পেইজের লিঙ্কঃ
www.facebook.com/Tangail-Sharee-Niketan-483232368500641/