সস্তায় চুল প্রতিস্থাপনের নগরি তুরস্ক
প্রকাশিত : ০৮:২১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১২:৪৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
বিশ্বে চুল প্রতিস্থাপনের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর জন্য মানুষ কাড়ি কাড়ি টাকাও খরচ করছে। তবে তুরস্কে তুলনামূলক সস্তায় এবং নিরাপদে চুল প্রতিস্থাপন করা হয়।
তুরস্কে চুল প্রতিস্থাপন করতে আসা এরকম একজন হলেন পল রেডম্যান। যিনি ইস্তাম্বুলে এসেছেন চুল প্রতিস্থাপন করার জন্য।তিনি মনে করেন এটি তার জীবনকে বদলে দেবে।
তিনি বলেন, আমি এটা লুকিয়ে রাখতে অপছন্দ করি এবং সবসময়েই নাড়াচাড়া করি। সেলুনে যেতেও আমার বিব্রত বোধ হয়।
টাক মাথায় চুল প্রতিস্থাপন করতে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে এসেছেন। ব্রিটেনে এর খরচ আট হাজার ডলার হলেও তুরস্কে খরচ হবে দুই হাজার ডলার।
ইস্তাম্বুল শহরকে বলা হচ্ছে চুল প্রতিস্থাপনের নগরী। এখানে প্রায় তিনশ-এর মত ক্লিনিক রয়েছে যেখানে চুল প্রতিস্থাপনের জন্য সার্জারি করা হয়।
প্রতিবছর পলের মতো লাখ-লাখ মানুষ ইস্তাম্বুল নগরীতে আসে আট ঘন্টার এ অপারেশন করাতে। চুল প্রতিস্থাপনের কাজটি কষ্টকর বলে মনে হতে পারে। কিন্তু সূঁচহীন একটি যন্ত্রের মাধ্যমে অনুভূতিহীন করে নেওয়া হয়।
এরপর মাথার পেছন থেকে চুলের গোঁড়ার অংশ সংগ্রহ করে যেসব জায়গায় চুল নেই সেখানে পুনরায় স্থাপন করা হয়। ভালো ফলাফল দেখতে হলে তাকে অন্তত ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্লাস্টিক সার্জনরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমের কারণে দিন দিন চুল প্রতিস্থাপনের চাহিদা বাড়ছে। ৪২ শতাংশ সার্জন বলছেন, মানুষ মুখের সার্জারি করছেন, কারণ তারা সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে সুন্দর দেখাতে চান।
এ কারণেই হয়তো মানুষ এখন অনেক বেশি চেহারা সচেতন হয়ে উঠেছে। চুল প্রতিস্থাপনের একমাস পরে, পলের চুলের গোঁড়াগুলো পড়ে যেতে শুরু করেছে। নতুন চুল ভালোভাবে গজাতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে।
সার্জারি সম্পর্কে পল বলেন, আমি মাথার দিকে তাকিয়ে থাকি, এবং ভাবি আহা, এটা দেখতে ভালোই লাগছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএইচ/