ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অনিদ্রা,অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন থেকে বেরিয়ে আসবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ১২:১৬, ৯ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১২:৩৪, ৯ এপ্রিল ২০১৯

অনিদ্রা সবচেয়ে সাধারণ ঘুমের ব্যাধি। পর্যাপ্ত সময় আর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনিদ্রায় আক্রান্ত একজন ব্যক্তির জন্য ঘুমিয়ে পড়া বা ঘুমিয়ে থাকা দুটোই কঠিন হয়ে পড়ে। এমনও না যে তাঁকে রাতে দেরিতে ঘুমোতে হয়েছে বা সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হয়েছে। তবুও ভালো ঘুম হয়নি। অনিদ্রা ঘুমের মান ও মাত্রা দুটকেই প্রভাবিত করে। আসুন জেনে নিন অনিন্দ্রা দৃর করার উপায়।

১.জীবনকে প্রকৃতির ছন্দে ছন্দায়িত করুন,দিন শুরু করুন ভোরের আলোয় : ২০০৮ সালে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভোরে ওঠেন তাদের কর্মদক্ষতা অন্যদের চেয়ে বেশি। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এ অভ্যাসটি যাদের আছে, পরীক্ষার ফলাফলেও তারা ভালো গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

এবং এদের মনে আনন্দে, আশাবাদে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে রাত জেগে দেরিতে দিন শুরু করা লোকেরা প্রায়ই হতাশা, নৈরাশ্যবাদ বা স্নায়বিক দুর্বলতায় ভোগেন। তাই দিন শুরু করুন ভোরের আলায়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নির্দিষ্ট সময়েই ঘুম থেকে জেগে ওঠুন। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। শোয়ার ঘর কেবল ঘুমের জন্যে ব্যবহার করুন। চোখে ঘুম নামলেই বিছানায় যান। সেখানে যেন অতিরিক্ত শব্দ বা আলো না থাকে।

আসলে যার জীবনে ডিসিপ্লিনের যত অভাব তার জীবনে প্রশান্তি তত কম। সঠিক খ্যাদাভাস যেমন : রাতে অল্প আহার, সকালে ভারী খাবার, সময়মতো ঘুমিয়ে পড়া, ভোরবেলা জেগে ওঠা জীবনকে ছন্দায়িত করে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাইলে ঘুমোতে হবে পরিমিত এবং প্রতিদিন। কাজের প্রয়োজনে রাত জাগতে হতেই পারে। কিন্তু তা যেন প্রতিদিনের রুটিনের অংশে পরিণত না হয়।

২. রাত্রি ১১ টার পর সকল ধরণের ডিভাইস বন্ধ করে দিন : অর্থাৎ টিভি, স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটাপ, কম্পিউটারসহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করুন রাত ১১টার আগেই। ঘুমের এক ঘণ্টা আগে এগুলো দেখা থেকে বিরত থাকুন। স্মার্টফোন থেকে ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ডিলিট করুন। আপনার এই সুন্দর অভ্যাসটুকুই আপনার স্বাস্থ্য, আপনার সন্তান, আপনার ভবিষ্যত রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

৩. টেনশনমুক্ত থাকুন, ধ্যান করুন : আপনার ভেতরে যত টেনশন ও অস্থিরতা থাকবে তত আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। আর টেনশনমুক্তির কার্যকর প্রক্রিয়া হচ্ছে মেডিটেশন।

এখন সুখী হওয়ার জন্যে সারা পৃথিবীতে মেডিটেশনের কথা বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বনেদি বিশ্ববিদ্যালয় ইয়েলের প্রফেসর ড. লরি স্যান্তোষ তার অন্যতম জনপ্রিয় কোর্স সাইকোলজি এন্ড গুড লাইফ এ সুখী হওয়ার পাঁচটি উপকরণের কথা বলেছেন- ১. কৃতজ্ঞচিত্ততা ২. ভালো ঘুম ৩. মেডিটেশন ৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্জন ৫. আত্মীয়-বন্ধুদের সাথে প্রত্যক্ষ সময় কাটানো।

 

টিআর/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি