ঢাকা, শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আপনার রক্তে যেসব খাবার অ্যালার্জির সৃষ্টি করে

প্রকাশিত : ১১:১৭, ২৬ জুন ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

অ্যালার্জি একটি কমন শব্দ। আমরা কম বেশি সকলেই এর দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছি। অ্যালার্জি কোনো একটি বিশেষ খাবার থেকে হতে পারে। মানে কারও ডিমে অ্যালার্জি থাকলে অন্য মানুষের ক্ষেত্রে তা নাও হতে পারে।

অ্যালার্জি সমস্যা রক্তের গ্রূপ ভেদে আলাদা আলাদাভাবে অনুভূত হয়। অর্থাৎ রক্তের বি গ্রুপে যে খাদ্যে অ্যালার্জি দেখা দেয় তা রক্তের এ গ্রুপের ক্ষেত্রে নাও দেখা দিতে পারে।

সাধারণত গায়ে চাকা চাকা দাগ, চুলকানি, অনবরত হাঁচি-কাশিকে আমরা অ্যালার্জি বলে থাকি। খাদ্যদ্রব্য ছাড়া ধুলোবালি, ফুলের পরাগ থেকেও অ্যালার্জির দেখা দিতে পারে। এলার্জির কারণকে হাইপার সেনসিটিভিটি বলা হয়। এবার দেখে নেয়া যাক রক্তের কোন গ্রুপে কোন খাদ্য অ্যালার্জি সৃষ্টি করে :

রক্তের গ্রুপ ‘ও’

এই গ্রুপের মানুষের ক্ষেত্রে রাজহাঁস, মাগুর মাছ, শিং মাছ, চীনাবাদাম, কাজুবাদাম, পোস্তদানা, অ্যাভাকাডো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, জলপাই, লাল আলু, বেগুন, আইসক্রিম, দুধ, দই, নারকেল, তেতুল, স্ট্রবেরি ও আপেল ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য অ্যালার্জি বাড়াতে পারে। অতএব এসব খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন।

রক্তের গ্রুপ ‘এ’

যাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ তাদের শরীরে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে- হাঁসের মাংস, গরুর মাংস, কোয়েল পাখি, মাগুর মাছ, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, মাখন, ঘন দুধ, পেস্তাবাদাম, কাজুবাদাম, মিষ্টি আলু, বেগুন, জলপাই, কমলা, পেঁপে, আম, টমেটো ইত্যাদি খাদ্যগুলো। দেখে-বুঝে তারপরে খাবার গ্রহণ করুন।

রক্তের গ্রুপ ‘বি’

হাঁসের মাংস, কোয়েল পাখি, কাঁকড়া, চিংড়ি, ব্লু চিজ, ভুট্টা, চীনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, জলপাই, কুমড়া, টমেটো, আইসক্রিম, দুধ, দই, নারিকেল, ডালিম, কামরাঙ্গা ও টমেটো ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য যাদের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ তাদের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রক্তের গ্রুপ ‘এবি’

যারা রক্তের ‘এবি’ গ্রুপ ধারণ করেন তাদের ক্ষেত্রে হাঁসের মাংস, গরুর মাংস, কোয়েল পাখি, কাঁকড়া, চিংড়ি, লবস্টার, পারমিজান, ব্লু চিজ, ভুট্টা, তিলের তেল, পোস্তদানা, সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়া বীজ, আইসক্রিম, জলপাই, মূলা, কলা, পেয়ারা, নারিকেল, কমলা, ডালিম এবং কামরাঙ্গা এসব খাবারগুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ এ খাবারগুলো আপনার শরীরে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

অতএব উপরোক্ত গ্রুপের লোকজন চিহ্নিত খাবারগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। যদি খেতেই হয়  তবে সামান্য পরিমাণে নিবেন। সপ্তাহে একবার বা মাসে দুই থেকে তিন বার কম পরিমাণে খেতে পারেন।

তথ্যসূত্র : স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জার্নাল।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি