উপোস করে ওজন কমানো শরীরের জন্য ক্ষতি
প্রকাশিত : ০৯:২৭, ২৩ জুলাই ২০১৯
শারীরিক স্থূলতা অনেককেই ভাবিয়ে তুলছে। তার জন্য তড়িঘড়ি ওজন কমাতে গিয়ে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। উপোস করে, অনেকক্ষণ না খেয়ে বা একদমই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন অনেকে। ডায়েট সম্পর্কেও রয়েছে ভুল ধারণা। মনগড়াভাবে খাওয়া দাওয়ায় পরিবর্তন আনতে গিয়ে নিজের ক্ষতি ডেকে আনছেন না তো!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে প্রাথমিক অবস্থায় ওজন কমতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে। উপোস করে বা একেবারে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিলে ওজন না কমে বরং শরীরের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। ফ্যাট না কমে উল্টো শরীরের পেশির পরিমাণও কমতে পারে।
খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে ওজন কমানোর চেষ্টায় কি ক্ষতি হয় জেনে নিন :
অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে শরীরের মেটাবলিজম কমে যায়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা দিনে ১২শ’ কিলো ক্যালোরির কম খেলে অনেকটাই কমে যায় মেটাবলিজমের পরিমাণ। ফলে শরীরে শক্তির পরিমাণ কম থাকে। ফ্যাট বা চর্বি না কমে উল্টো শরীর দূর্বল হয়। এসব কারণে কাজের গতি কমে যায় এবং আশানুরূপ ফল পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে।
এছাড়া আলসার, গ্যাসট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা লেগে থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।
সমাধানের উপায়
'ডায়েট' শব্দটির অর্থ উপবাস বা না খেয়ে থাকা নয়। আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত ক্যালোরির খাবার অবশ্যই খাবেন। খাবার লিস্টে রাখুন কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনের সুষম ব্যালেন্স।
ওজন কমাতে হলে প্রথমেই বাদ দিন জাঙ্ক ফুড, ডিপ ফ্রায়েড খাবার-দাবার ও কোল্ড-ড্রিংক্স। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্য়াট কম পরিমাণে রাখুন। আরও রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ফল, ছোট মাছ, চিকেন ব্রেস্ট। স্ন্যাক্স হিসাবে খেতে পারেন ছোলা, আমন্ড, মওসুমী ফলের স্যালাড।
সারাদিন বার বার খাবেন কিন্তু পরিমাণে কম। তাতে শরীরে শক্তি পাবেন এবং স্লিমও থাকতে পারবেন।
এএইচ/