ভালো ঘুমের জন্য ঔষুধের মত কাজ করে যেসব খাবার
প্রকাশিত : ১৫:৪০, ২৩ জুলাই ২০১৯
সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই ভালো ঘুম হওয়া দরকার। ভালো ঘুম এমন একটি জিনিস যা শরীর রোগব্যাধি থেকে দূরে রাখে এবং ক্লান্তি দূর করে দেহে শক্তির যোগান দেয়। তাই চিকিৎসকরা ভালো ঘুমের প্রতি সব সময় জোর দিয়ে থাকেন।
ভালো ঘুম না হওয়া যাদের নিয়ম হয়ে গেছে তারা কিন্তু মস্তিষ্কগত নানা রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে ব্রেন হ্যামারেজ। এছাড়া ঘুমের সমস্যায় শরীরে নানাবিদ রোগও দেখা দিতে পারে।
এ কারণে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ভালো ঘুমের পরামর্শ দেন। অনেকের ঘুম আবার আধো আধো অর্থাৎ গভীর হয় না। তারা কিন্তু খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন এনে দেখতে পারেন। ফল পাবেন খুব তাড়াতাড়ি।
এবার জেনে নেওয়া যাক ভালো ঘুমের জন্য খাবারগুলো কি কি :
পাকা কলা
কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ট্রিপটোফিন। এই উপাদানগুলো সেরোটোনিনের মতো ঘুমের হরমোন নিঃসরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই রোজ রাতে কলা খেয়ে দেখুন কি দারুন ফল পাচ্ছেন।
দানাদার শস্য
গম, শিম এবং কলাইর মতো শস্যজাতীয় খাদ্য গভীর ঘুমাতে সাহায্য করে। এসব খাবার সেরোটোনিন নামক শিথিলকরণ হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে আপনাকে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে দিবে। এছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়ামও দেহের মাংসপেশি শিথিলকরণে সহায়ক।
ওটস
ওটস খুবই উপকারি এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে আছে জটিল কার্বোহাইড্রেটস যা খাবার হজমে বেশ সময় লাগায়। ফলে রাতভর পেট ভরা থাকার অনুভূতি থাকে এবং গভীরভাবে ঘুমাতে সাহায্য করে। রাতের খাদ্য হিসেবে ওটসের তৈরি খাবার বা ওটস বিস্কুট খান আর দেখুন এর চমৎকার কার্যফল।
ডার্ক চকোলেট
এতে আছে সেরোটোনিন যা মন এবং দেহকে প্রশান্ত করতে সহায়ক। আর এর ফলে ঘুমও ভালো হয়।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে রয়েছে জটিল কার্বোহাইড্রেটস যা ঘুম বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া মাংসপেশি শিথিলকরণের সহায়ক পটাশিয়ামও আছে। তাই ঘুমের গুণগত মান বাড়াতে মিষ্টি আলুর জুড়ি নেই।
দুধ
রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খেলে অনেক ভাল ঘুম হয়। কারণ দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে, যা মস্তিষ্ককে গভীর ঘুমের জন্য সহায়ক হরমোন মেলাটোনিন নিঃসরণে উৎসাহিত করে। ফলে মেলাটোনিন নিঃসরিত হয় এবং ভাল ঘুম হয়।
মধু
মেলাটোনিন নিঃসরণ বাড়িয়ে এবং মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখার হরমোন ওরেক্সিনের নিঃসরণ কমিয়ে ঘুমের গুণগত মান বাড়ায় মধু। মাত্র ১ চামচ মধু খাবেন, তাতেই গভীর ঘুম নেমে আসবে দেহে।
বাদাম
বাদামে আছে ট্রিপটোফ্যান এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই দুটি উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই স্নায়ু এবং মাংসপেশির কার্যক্রম স্তিমিত করে আনতে সহায়ক। যা বিশ্রামের জন্য জরুরি। এছাড়া ঘুমের সময় হৃদপিণ্ডকে দৃঢ় এবং সচল রাখতেও সহায়ক বাদাম।
পালংশাক
ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, বি৬ এবং সি-এর মতো ভিটামিন ছাড়াও এতে আছে গ্লুটামিন নামের একটি অ্যামাইনো এসিড যা শান্তিপূর্ণ ঘুমের জন্য বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
আপনি যদি ভালো ঘুম পেতে চান তবে আজ থেকেই এর যে কোন একটি খাবার দিয়ে শুরু করুন। আর দুপুরের খাবারের পর থেকে ক্যাফেইন জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করে ফেলুন। এছাড়া ভাল ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য দিনে ব্যায়াম করাটাও জরুরি।
এএইচ/