ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সন্তানের শরীরে কৃমি থাকার লক্ষণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৭, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

একাধিক গবেষণা থেকে জানা যায়, প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের পেটে কৃমি থাকে। তবে কৃমির মাত্রা বেড়ে গেলেই শরীরে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত কৃমির কারণে শরীরে রক্তাল্পতা এবং আয়রন ডেফিশিয়েন্সির আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। এমন কি শরীরে রক্তের পরিমাণ কমতে কমতে অ্যানিমিয়া হতে পারে এবং স্মৃতিভ্রম হওয়ার আশঙ্কাও সৃষ্টি করতে পারে এই কৃমি থেকে। আবার শিশুদেরকে অমনোযোগী করে তুলে কৃমি। আর কৃমির সমস্যা থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুর শরীরের বৃদ্ধি প্রক্রিয়াও।

শিশুরা কৃমিতে বেশি আক্রান্ত হয়। মাঝে মধ্যেই পেটে ব্যথা এবং হঠাৎ হঠাৎ মাথার যন্ত্রণায় ভোগে শিশুরা। আবার পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এসবের কারণ হতে পারে কৃমি। এসব সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেক সময় অভিভাবকরা চিন্তায় পড়েন। তাই আসুন কৃমির কয়েকটি উপসর্গ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক... 

* সন্তান ঘুমালে যদি মুখ থেকে লালা পড়ে, তখন বুঝে নিবেন সন্তানের শরীরে কৃমি বাসা বাঁধছে।

* মিষ্টি জাতীয় খাদ্য খাওয়ার ইচ্ছা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়াও কৃমি হওয়ার লক্ষণ।

* শরীরে কৃমি থাকলে আঘাত না লাগা সত্ত্বেও মাড়ি থেকে রক্তপাত ঘটে।

* কৃমির কারণে সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে যায়।

* ত্বকে ঘন ঘন র‌্যাশ বা চুলকুনির সমস্যা তৈরি হয় কৃমি থেকে।

* খাওয়ার ব্যাপারে অনিহা বা খিদে না পাওয়ার কারণও কৃমি।

* হাত-পা ব্যথা বা দুর্বল বোধ করাও কৃমির জন্য হতে পারে।

মার্কিন চিকিৎসক আব্রাম বেরের মতে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কৃমির সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এবার সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...

কাঁচা হলুদ: কাঁচা হলুদ আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। কৃমির সমস্যার সমাধানে এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। তাই শিশুকে অল্প অল্প করে কাঁচা হলুদ খেতে দিন।

কাঁচা রসুন: কাঁচা রসুনে প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাঙ্গাস মেরে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। তাই শিশুকে নিয়মিত কাঁচা রসুনের কুচি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। উপকার পাবেন।

আদা: আদা হজমের সমস্ত রকমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান! হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেটে ইনফেকশন ইত্যাদি দূর করতে আদার জুড়ি মেলা ভার! শিশুকে সামান্য পরিমাণে কাঁচা আদার রস খালি পেটে খাওয়াতে পারলে কৃমির সমস্যায় দ্রুত ফল পাবেন।

পেঁপে: পেটের সমস্যা দূর করতে পেঁপে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। যে কোন ধরনের কৃমি সমস্যায় পেঁপের বীজ দুর্দান্ত কার্যকর! কৃমির সমস্যায় দ্রুত ফল পেতে পেঁপে এবং মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

শশার বীজ: ফিতাকৃমির সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে শশার বীজ অত্যন্ত কার্যকর! শশার বীজকে শুকিয়ে গুঁড়া করে প্রতিদিন এক চামচ করে খাওয়াতে পারলে কৃমির সমস্যায় দ্রুত ফল পাওয়া সম্ভব।

উল্লেখিত উপায়গুলো কার্যকর হলেও শিশুকে এগুলোর কোনটি একটানা বেশি দিন খাওয়ানো উচিত নয়। সমস্যা বেশি মনে হলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি