ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মোবাইলের নেশা ছাড়বেন যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৯, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

প্রয়োজনের হাত ধরে নেশার জগতে পৌঁছে দিয়েছে মোবাইল। এই নেশা মাদকের নেশা নয়, মোবাইল টেকনোলজির নেশা। কি নেই এই মোবাইলে? নেশায় বুঁদ হয়ে থাকার সবই আছে। তবে ভাল-খারাপ দুটো দিকই রয়েছে। মোবাইল দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে অনেক প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু অনেকে এই জিনিসটি হাত থেকে কখন রাখেন, তা নিজেও জানেন না। ফোনে, মেইলে বা চ্যাটে ব্যস্ত থাকায় ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে চাপ সৃষ্টি হয় মস্তিষ্কে। তখন দেখা দেয় মানসিক সমস্যা। আবার মোবাইলে ব্যস্ত থাকায় ব্যক্তিগত সম্পর্কে ধরে ফাটল।

আজ প্রৌঢ়, তরুণ, শিশু সবাই মোবাইলসর্বস্ব। পড়াশোনা শিকেয় উঠিয়েছে, আবার কাজের গতিও কমিয়েছে এই মোবাইল। মোবাইল দুনিয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মুখোমুখি আলাপ, আড্ডা, অবসর। এ থেকে বাড়ছে স্ট্রেস ও উদ্বেগ৷ এভাবে অসুস্থ হওয়ার চেয়ে মোবাইলের এই আশক্তি থেকে বেড়িয়ে আসা উচিত। এটি বড় কোন কঠিন কাজ নয়। এবার জেনে নিন কিভাবে মোবাইলের আশক্তি ছাড়াবেন, সে সম্পর্কে...

* টেকনোলজির জন্য যদি স্ট্রেস বাড়ে, অশান্তি শুরু হয়, বুঝতে হবে আপনি ব্যাপারটা সামলাতে পারছেন না৷ তখন কাজের ও ব্যক্তিগত সময়কে আলাদা করে নিন৷ বন্ধু ও সহকর্মীদের জানান যে একটা সময়ের পর আর আপনাকে ফোনে, মেইলে বা চ্যাটে ধরা যাবে না৷

* সব যোগাযোগ ছিন্ন করতে অসুবিধা হলে আলাদা ফোন রাখুন, জরুরি প্রয়োজনে যেখানে যোগাযোগ করা যাবে৷

* অবসর সময়ে মেইল বা টেক্সট পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব না হলে চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে চেক করতে৷

* গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সামনাসামনি করার চেষ্টা করুন৷ এতে ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যাবে।

* ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও টেক্সটিং বা মেইলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সামনে বসে কথা বলা৷ এতে স্ট্রেস অনেক কম থাকে৷ তাই খুব দরকার না পড়লে টেক্সট বা হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে ফোনে কথা বলুন বা সামনাসামনি দেখা করুন।

* পরিবার ও নিজের জন্য রাখা সময়ে যেন টান না পড়ে৷ একঘণ্টা, দু’ ঘণ্টা, যতটুকু সময়ই রাখছেন তা যেন যথাসম্ভব কম্পিউটার বা মোবাইল ফ্রি থাকে৷

* নেটে পড়াশোনা করার পাশাপাশি বই পড়াও বজায় রাখুন৷

* বিছানায় যাওয়ার অন্তত দু’-এক ঘণ্টা আগে নেট, মোবাইল সব বন্ধ করে দিন৷ এতে অনিদ্রার প্রকোপ কমবে৷

* সপ্তাহে অন্তত একবেলা টেকনোলজিকে যথাসম্ভব বর্জন করে যা করতে মন চায়, তাই করুন৷ 

অন্যকে দেখে অভ্যস্ত না হওয়াই ভালো। কেননা আপনাকে বুঝতে হবে, মোবাইল কতটুকু আনন্দের জন্য আর কতটুকু কাজের জন্য দরকার। এর বেশি করতে গেলেই আপনার স্ট্রেস বাড়তে পারে। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি