ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৯, ১৭ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১১:১১, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

মেদহীন সুঠাম দেহ সবাই পেতে চায় কিন্তু কয়জন তা পায়! খাওয়াদাওয়ার লোভ সামলানো যে খুবই কঠিন। আরামপ্রিয় মানুষরা কায়িক পরিশ্রমের কথা ভাবতেই পারেন না! অনেকে মোবাইলে কাটিয়ে দিচ্ছেন রাতের পর রাত। এসব অনিয়ম, ভুল খাবারে পেট ভরানো, কায়িক পরিশ্রম না করা এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে হু হু করে বাড়তে থাকে পেটের মেদ। ওজন বৃদ্ধির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে দেখা দিতে পারে নানা অসুখ-বিসুখ।

ভুঁড়ি সাধারণত দু’ধরনের। এক ধরনের হলো তলপেটে মেদ জমে শক্ত হয়ে যাওয়া। একে ‘বালজিং বেলি’ বলে। আর এক ধরনের ক্ষেত্রে সমগ্র পেটেই মেদ জমে ভুঁড়ির আকার ধারণ করে। একে ‘ব্লোটেড বেলি’ বলা হয়। বালজিং বেলির তুলনায় ব্লোটেড বেলি কমানো বেশি সহজ।

যখন পেটের সমস্যা প্রকট হয় তখন অনেকেই ছুটেন জিমে। খেয়ে থাকেন বাজারচলতি ক্ষতিকর সাপ্লিমেন্ট। বরং কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে এই ধরনের ভুঁড়ি খুব সহজেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। বিপাকের হার বাড়িয়ে সেসব পদ্ধতি শরীরের অযাচিত মেদ কমিয়ে থাকে। এবার পেটের মেদ কমানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন... 

প্রচুর পরিমাণে পানি খান
পেট ভার হয়ে থাকলেও আরও বেশি করে পানি পান করুন। আপনার মনে হতে পারে পেট ভার অবস্থায় পানি পান করলে আপনার অস্বস্তি আরও বাড়বে, কিন্তু পানি পানের ফল হয় তার উল্টোটাই। অতিরিক্ত পানি পানের ফলে পাচনতন্ত্রে আগে থেকে জমে থাকা পানি অপসরণের কাজ শুরু হয় এবং হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হতে থাকে। শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয় না বলে শরীর পানিকে অকারণে জমিয়েও রাখে না।

পানি খান আদা-মধু-লেবু দিয়ে
শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। আদা ভেজানো পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন মধু ও পাতিলেবু। এই পানীয় খেলে শরীর খুব সহজেই ডিটক্সিফাই হবে। আর স্ফীত পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে কফি বর্জন করুন। কফিতে থাকা ক্যাফিন আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে শরীরে শর্করা এবং ক্যালোরির মাত্রা বাড়িয়ে থাকে কফি। 

কলা খান
স্ফীত পেটের সমস্যা থেকে মুক্তির আর এক সহজ উপায় হলো কলা খাওয়া। কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা শরীরের পানি ধারণ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাচনতন্ত্রে থাকা সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

সকালের নাস্তায় রাখুন প্রোটিন
যাদের ভুঁড়ির সমস্যা আছে তারা অবশ্যই সকালের নাস্তায় প্রোটিন এবং ফাইবারযুক্ত খাবার খাবেন। যাতে পাচনক্রিয়া ভাল হবে। এছাড়া রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস করুন। অন্তত খাওয়ার দু’ঘণ্টা পর ঘুমতে যান।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি