শরীর থেকে নিকোটিন দূর করে যেসব খাবার
প্রকাশিত : ১২:৫১, ৮ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৫:১৭, ৮ জানুয়ারি ২০২০
সিগারেটের মূল উপাদান নিকোটিন। এই নিকোটিন একটি আসক্তিকর রাসায়নিক। নিকোটিন শরীরে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। নার্ভ ও পেশিকোষ ব্লক করে দেয় সিগারেটের নিকোটিন৷ এর ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্টের রক্তনালী সরু হয়ে হার্ট অ্যাটাক, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা, যৌন ক্ষমতা হ্রাসসহ শরীরের নানা ক্ষতি হয়।
বৈজ্ঞানিকভাবে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো প্রমাণ হওয়ার পরও মানুষ ধূমপান করছে। ধূমপান ত্যাগ করা অসাধ্য কিছু নয়। এর জন্য আপনার মনের ইচ্ছাটা যথেষ্ট। শুধু ধূমপান ছাড়লেই হবে না, এতদিনের এই অভ্যাসের ফলে শরীরে জমে আছে নিকোটিন। এই নিকোটিনও দূর করতে হবে। এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে শরীর থেকে সহজেই নিকোটিন বের হয়ে যাবে। জেনে নিন সেই খাবার সম্পর্কে।
পানি
নিকোটিনের দ্বারা শরীরের অভ্যন্তরের যে ক্ষতি হয় তার বিরুদ্ধে লড়তে পারে পানি। নিকোটিন শরীরকে পানিশূন্য করে! তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করলে শরীর রিহাইড্রেট এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য বের হয়ে যায়। এছাড়াও আদা, লেবু, ডালিম, কিউই খেলে নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়।
ব্রোকলি
ব্রোকলিতে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন বি-৫ ও ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন বি শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রোকলি খেলে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় এবং ফুসফুসকে টক্সিন থেকে রক্ষা করে। ব্রোকলিতে NRF2 জিন থাকে৷ যা ফুসফুসের কোষকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
কমলা
কমলা বলশালী সাইট্রাস ফল। কমলায় থাকা ভিটামিন সি নিকোটিন হ্রাস করে। কমলা খেলে ভিটামিন সি-এর স্তর পরিপূর্ণ হয় এবং স্ট্রেস ও উদ্বিগ্নতা কমে।
পালংশাক
গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের ফলিক অ্যাসিডের সরবরাহ কম থাকে। তাই পালংশাক খেতে পারেন, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড। এছাড়া পালংশাকের ভিটামিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যা স্বাস্থ্যের ভারসাম্য রক্ষা করে। পালং শাক খেলে স্মোকিংয়ের স্বাদ নষ্ট হয়! তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে পালংশাক খেতে হবে৷
গাজর
ধূমপান ছাড়ার জন্য গাজর অনেক উপকারি। গাজরের জুস খেলে কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় বেশি। প্রতিদিন এক কাপ গাজরের জুস পান করলে শরীর ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে দিয়ে পরিপূর্ণ হবে। যা শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
এছাড়া আদা, লেবু, ডালিম, কিউই খেলে নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়। আর খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে এই বদ অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।
এএইচ/