ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কর্মস্থলে করোনা থেকে মুক্ত থাকবেন যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৩, ১৯ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কর্মস্থলে কী প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন এবং কর্মীদের কী করণীয় সে বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ভাইরাস মোকাবিলায় কর্মস্থল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখা নিশ্চিত করতে বলেছে সংস্থাটি। সবকিছু জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। যার মধ্যে আছে ডেস্ক, টেবিল, টেলিফোন, কিবোর্ড ইত্যাদি। কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসব সামগ্রীর মধ্য দিয়েও ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে।

কর্মীরাসহ অফিসে আসা যেকোনো ব্যক্তির জন্য সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। অফিসে পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক, হাত ধোয়ার সামগ্রী, মাস্ক ও টিস্যু পেপার রাখতে হবে। হাত ধোয়াসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির পোস্টার লাগিয়ে কর্মীদের সচেতন রাখতে হবে।

জরুরি মুহূর্তে কর্মদিবস কমিয়ে আনতে হবে। খুব জরুরি না হলে অফিসে বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়েও ভাবতে বলেছে তারা। কারণ এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী কোনো ব্যক্তি নিজের অজান্তেই করোনাভাইরাস বয়ে আনতে পারেন। মুখোমুখি বৈঠক এড়িয়ে টেলিফোন কনফারেন্স বা অনলাইনে তা করা যায় কি না, সেটি বিবেচনা করতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত কেউ শুষ্ক কাশি, জ্বর, অসুস্থতা বোধ করলে তার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বৈঠকসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবার নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা অন্তত এক মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে বৈঠক বা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর কেউ আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা অন্যদেরও শনাক্ত করতে সুবিধা হবে।

সংক্রমিত এলাকা দিয়ে চলাচলে সতর্ক থাকতে হবে। কর্মীদের এসব এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে। ভ্রমণের সময় সঙ্গে জীবাণুনাশক রাখতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়া ব্যক্তিদের থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। আক্রান্ত এলাকা থেকে আসার পর কর্মীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা দরকার। অফিসে কোনো কর্মীর মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে বাধ্যতামূলক তাকে ছুটিতে পাঠানো উচিত।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি