মুক্তির মহানায়ক
প্রকাশিত : ০৯:৩৭, ১৫ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৪:৩৮, ১৫ জুন ২০২০
তোমার আগমনে আনন্দে আত্নহারা বিশ্বজাহান, রহমতের ফল্গুধারায় সিক্ত কুল-কায়েনাত।
মরুরদুলাল আলআমীন,
সহস্রাব্দের সকল অন্ধকার বিদুরী চেরাগ হাতে-
তিনি এলেন ধরার বুকে।
নিদারুণ যাতনা দুঃখ কষ্ট নিপীড়নে জর্জরিত মজলুম মানবতার বন্ধু রাসুলে আকরাম।
গহীন অন্ধকার ও ভ্রান্তির বেড়াজালে নিমজ্জমান, বিশ্ববাসীর কর্ণ কুহুরে পৌঁছালেন-
ঐশ্বরিক ঈমানের আলোয় উদ্ভাসিত,
মহাসত্যের মন্ত্রেরদিশা মুক্তির অমিয় বাণী।
তৌহিদের মর্মবাণীর আলোর প্রভায় জাগে শিহরণ,জাহেলি সমাজে।
মরুর বুকে জাগলো সাড়া, নিকষ আধাঁরে
প্রস্ফুটিত হলো পূর্ণিমার চাঁদ।
ঝলোমলো চাঁদের দ্যুতি ঠিকরেপরে-
বিকিরণ ছড়ালো মাশরিক থেকে মাগরিবে।
হেরা হতে হেরার রশ্মি নিয়ে গেয়ে উঠলো, উসওয়ায়ে হাসানার জয়গান।
গুলবাগে ফোটে ফুল, সুরভি ছড়ায়, প্রিয় হাবিবের নামে ডেকে যায় পাখি।
আহম্মদ মোস্তফা, মুহাম্মদ মোস্তফা, বিশ্বনবী রাহমাতুল্লিল আলামীন।
তাঁর ছোঁয়ায় ঘন ঘোর অন্ধকার আকাশে
তিমির বিদারী সূর্য।
বিকির্ণ আলোয় ধু-ধু মরুর বুকে ফুলে-ফুলে ভরা সুশোভিত মরুদ্যানে জাগে সৌরভ,
সিদ্দিকে আকবর,ফারুকে আজম, জিন্নুরাইন, আলীহায়দার।
বদর ওহুদ খন্দকে শত-সহস্র শোহাদায়ে সাহাবার জীবনের বিনিময়ে,
সাদা-কালোর ক্লেশ, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যায় ভেদাভেদ, নেই কোন গ্লানি।
বিদীর্ণ হয় পাপ-তাপ পংকিলতা জড়া জীর্ণতা।
ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ নিপীড়িত নিষ্পেষিত মানবতার-
ঘুম ভাঙে বেলালের আজানে।
প্রিয় সাথীদের নিরন্তর প্রাণান্তকর সাধনায়
সোনালী ভোরের আলোকছটায় -
ভেঙে যায় পাপাচারের লেলিহান গহবর।
জমিনে নেমে আসে শান্তি ছায়া শীতল ফেরদৌস।
বিজয়ের বারতা দিকে দিকে উড্ডীন,
সোনার মানুষের আকড়ে বিকীর্ণ প্রান্তর।
সারোয়ারে কাউনাইন তোমার পরশে-
সংগীন তমস্যা তিমিরে নতুন দিনের আলোক ধারা।
তৈরী হয় মানবতার মুক্তির সিরাতুল মুস্তাকিম।
মহান রবের মহিয়ানবাণী ধ্বনিত চতুর্দিকে।
বেহেশতী ঝর্ণা ধারা প্লাবিত প্রাণের মাদীনায়।
রাসুলে কারিম, সরদারের দু’আলম
সাইয়্যেদুল মুরসালিন,
শাফায়াতের কান্ডারী, মুক্তির মহানায়ক-
তোমার প্রতি দরুদ ও সালাম।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
লেখক: কবি ও গণমাধ্যমকর্মী