মহা বীর দুই বাঙ্গালী
প্রকাশিত : ২০:৫৭, ১৯ অক্টোবর ২০২০
যায় না সূর্য অস্ত তার
প্রতাপ বিশ্বময়
লুটপাট শাসন শোষণ
করলো বিশ্ব জয়।
কুন্দলিনী কহিনুর
বেদ বেদান্ত পুরান
লুটে নিতে বনিক বেশে
এলো শয়তান।
দখল করে নিল সব
ভেঙ্গে টুকরো করে
ঘুমায় ভারত সকালবেলা
ওরা জাগে ভোরে।
এত বড় সম্রাজ্য
সারা বিশ্বময়
ছিল না তো পৃথিবীতে
আর কোন সময়।
প্রতাপ ছিল, শক্তি ছিল
ছিল বন্দুক
সখা ছিল তাদের সব
দেশের নিন্দুক।
সুবিশাল সম্রাজ্য
প্রাচ্য প্রতিচ্ছেদ
মহাদেশ মহা সাগর
পালে তাঁর ইচ্ছে ।
বিশ্ববাসীর মহীরুহ
অপার গৌরবে
অনন্ত রুপ বিশ্বময়
মানে প্রজা সবে।
ভারত স্বাধীন করতে হবে
ধরবে কে আজ হাল
অগ্র পথিক তিন পরিবার
লাল, বাল, পাল।
মহা গান্ধি হাজির হল
অর্ধ নগ্ন দেহে
মাথার মনি নেহেরুকে
রাখলো পরম স্নেহে।
অহিংসা আর সত্যাগ্রহ
দুর্বলের ভাষা
ভারত ছাড়ো আন্দোলনে
ছিল না খুব আশা।
বীর বাঙ্গালী সুভাস বসু
মন্ত্র দিল তাঁর
যুদ্ধ করে ভারত স্বাধীন
করতে হবে এবার।
অহিংসার পিতামহ
বাধ স্বাধলো তাতে
হয়তো জানা ছিল ভারত
সাধু হবে রাতে।
এই বাঙ্গালী মহা বীর
নিয়ে সাহস বল
অস্ত্র হাতে নিল তুলে
ভাঙে সে শৃঙ্খল ।
তাঁর ভয়ে পালিয়ে গেল
বনিক ভ্রম্মচারী
“এ্যাটলি”সাহেব বলে দিল
এটা সরাসরি।
এক বাঙ্গালী বীরের মেধায়
আধিপত্যবাদ
ভেঙ্গে হল চুরমার
হল বরবাদ।
হার মেনেছে রাতের শেয়াল
পালিয়েছে রাতে
ভাঙ্গা ভারত স্বাধীন হল
তিনটি ভাগ তাতে।
অসাধ্য এই সাফল্য তাঁর
লুটে পুটে নিল
মহা গান্ধী নেহেরুরা
নাম মুছে দিল।
সেই বাঙ্গালী নেতাজী
যাইনি তো কেউ ভুলে
অনন্তকাল বাসবো ভাল
হৃদয় দুয়ার খুলে।।
তিন ভাগের একভাগ
পূর্ব পাকিস্তান
ধর্ম নিয়ে ভাগ হয়ে
হল গোরস্থান ।
কাল হল ধর্ম যেথায়
নাম পরিচয়
ভিত্ত হল বাঙ্গালীরা
দারুন অসহায়।
বাঙ্গালীদের ভাষার উপর
করলো কষাঘাত
সংস্কৃতি ভাষা সব
করতে উৎখাত।
ভিতু ভেবে বাঙ্গালীকে
মুর্খ পাকিস্তানি
কর্ম দোষে করলো ওদের
দেশের অঙ্গহানি।
যুগে যুগে পরাধীন
এই বাঙ্গালী জাতীর
ত্রাণকর্তা হয়ে এলো
মুজিব মহাবীর।
মেধা তাঁর আকাশ ছোঁয়া
ভাষণ সুমধুর
দখল করে নিল সবার
প্রেমের হ্রদয় পুর।
মহাবীর মহানায়ক
আকর্ষণে তাঁর
মন্ত্র দিল বাঙ্গালীকে
পূর্ণ স্বাধীনতার।
ছেষট্টির ছয় দফা
সাত মার্চের ভাষণ
এক করলো জাতিটাকে
ভাঙতে দুঃশাসন।
বঙ্গবন্ধুর কঠিন শ্রমে
নিষ্ঠা ও বিশ্বাসে
জানতো সবে স্বাধীন হবে
বাঙ্গলা অবশেষে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতার
দিলেন ঘোষণা
নয় মাস যুদ্ধে সফল
পিতার সাধনা।
নাস্তানাবুদ পাক পিসাচ
হল দিশেহারা
ছিয়ান্বই হাজার সেনা
ধরা পরলো যারা।
স্বাধীন হল সোনার বাঙ্গলা
বঙ্গবন্ধুর মেধায়
তামাম বিশ্ব দেখলো চেয়ে
খুশি হল বেজায় ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায়
হল বিশ্ব জয়
শ্রেষ্ঠতম পরাশক্তির
হল পরাজয়।
এমন ধারা কেমনে সয়
লজ্জা পরাজয়
উঠে বসে বিশ্ব যাদের
প্রতাপ মহিমায়।
দুই বাঙ্গালী মহাবীর
নেতাজী ও মুজিব
হারিয়ে দিল পরাশক্তি
করলো তাদের ক্লিব।
তাই বাঙ্গালী ওদের চোখে
চিরকাল দাগি
জেনে রেখো ভাই বোনেরা
হয়োনা বিবাগী।
এক মুজিব, এক সুভাস
দুটি মহা বিজয়
পৃথিবীর ইতিহাসে
নজির পাবার নয়।
তাইতো বুঝি এ দুই বীরের
নাম মুছে দিতে
সক্রিয় সব পরাজিত
হাড়ের বদলা নিতে।।