শুভ জন্মদিন বাংলা ও বাঙালীর অভিভাবক ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক
প্রকাশিত : ২২:৪৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আজ মঙ্গলবার ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক ৯৩ পেরিয়ে ৯৪ বছরে পদার্পণ করেন। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে, তার ইস্কাটন রোডের বাড়িতে হাজির হন একুশে পরিবার ও একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় । যদিও আলাপের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, জন্ম দিনটাকে ঘটা করে উদযাপন করতে চান না তিনি। তবে জনকীর্ণতাকে খুব উপভোগ করেন তিনি । এছাড়া গল্প শুনতে ও বলতে ভালোবাসেন ৯৪ তে পা দেয়া এই মানুষটি।
আহমদ রফিক ছিলেন একজন অসম্প্রদায়িক, মুক্তমনা ও প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ । তার জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯। একাধারে তিনি ছিলেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। এর পাশাপাশি তিনি ছিলেন কবি, প্রবন্ধকার ও গবেষক। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিষয়ে গবেষণা তার বিশেষ কৃতিত্ব। টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে রবীন্দ্রত্ত্বাচার্য উপাধিতে ভূষিত করে।
বাংলা একাডেমি ১৯৭৭ সালে প্রকাশ করে রবীন্দ্রবিষয়ক তাঁর প্রথম বই আরেক কালান্তরে। এরপর গত ৪৩ বছরে একে একে লিখেছেন ছোটগল্প: পদ্মাপর্বের রবীন্দ্রগল্প, রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রচিন্তা ও বাংলাদেশ, রবীন্দ্রনাথের চিত্রশিল্প, রবীন্দ্রভুবনে পতিসর, রবীন্দ্রসাহিত্যের নায়িকারা: দ্রোহে ও সমর্পণে, বাংলাদেশে রবীন্দ্রচর্চা: একটি অধ্যায়, রবীন্দ্রভাবনায় গ্রাম: কৃষি ও কৃষক, বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ: এই বাংলায়, রবি বাউল ও তাঁর বিচিত্র ভাবনা, রবীন্দ্রচর্চা: বাংলাদেশ, রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি ও নোবেল পুরস্কার, নির্বাচিত রবীন্দ্রনাথ, শিশুদের রবীন্দ্রনাথ, কিশোরদের রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রকেন্দ্রিক তাঁর সমস্ত রচনা দুই খণ্ডে সংকলিত হয়েছে নানা আলোয় রবীন্দ্রনাথ শিরোনামে।
আহমদ রফিকের রবীন্দ্রচর্চা কেবল গ্রন্থগত পরিসরে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি ‘রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র ট্রাস্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা, রবীন্দ্রচর্চা পত্রিকার সম্পাদক। নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র-স্মৃতিস্থান পুনরুদ্ধার-প্রয়াসের এই পুরোধা একজীবনের রবীন্দ্রচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি (১৯৯৫) আর বাংলা একাডেমির ‘রবীন্দ্র পুরস্কারে’ (২০১১) ভূষিত হন।
তবে ন্যায় ও অন্যায়ের সাথে আপসহীন লড়াকু এই সৈনিক, জীবনের ক্রান্তিকালে এসেও স্বপ্ন দেখেন সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহারের পাশাপাশি অসাম্প্রদায় একটি বাংলাদেশের।
//আরবি