বায়স্কোপে মহাকাল
প্রকাশিত : ১৩:১৩, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৩:১৩, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
হে জীবন, তুমি কেন এত সুন্দর ?
রঙধনুর মতো রঙিন-রঙ ছড়ায় পলকে পরতে
কৈশোর-শৈশব মেঘহীন-মুক্ত আকাশের মত
ময়ূর পঙ্খিতে নীলাকাশ ছোঁয়া
সবকিছু বেদনাবিহীন দুরন্তপনা।
আহ ! কি আনন্দ, কি মজা!
হে জীবন, তুমি কেন চঞ্চলা ?
দুয়ারে যৌবন দাঁড়িয়ে থাকে
প্রবেশ করে দুয়ারে উন্মত্ততা
যৌবন যার-সেইতো সবল
মানে না বাধা, বিশাল সমুদ্রও মনে হয় পুকুরসম
যুদ্ধজয়ই যেন ইস্পিত লক্ষ্য।
আহ ! কি আনন্দ ! কি দারুন উন্মাদনা
হে জীবন, কেন তুমি ফ্যাকাশে ?
পৌঢ়ত্ব আমার অহংকার
কর্মহীন অলসপ্রহরে মহাকালে হাঁটি
আদিকালে চর্যাপদ মাত্রাবৃত্তে ছিলো
শাস্ত্রী পুথি সাহিত্যের খোঁজে হরপ্রসাদ নেপালে
চর্যাপদের মহিলা কবি কুক্কুরীপা
অতঃপর তমাসার যুগে জেগে থাকে শুন্যপুরাণ ও শুভোদয়া
নেপালের পুরান রাজধানী ভক্তপুরে
মূর্তিমান দাঁড়িয়ে থাকা সর্পরাজের সামনে ভক্তরা মাথানত রাখে
মধ্যযুগের শ্রীকৃষ্ণ-কীর্তন আর মনসামঙ্গল
অত:পর পৌঢ়ত্ব মুখরিত হয় আধুনিকতায়
আহ ! কি আনন্দ! কি মজা !
পৌঢ়ত্বে সুপ্ত থাকে জীবনের সব উৎসব
কৈশোর-শৈশব-যৌবন -পৌঢ়ত্ব
মানেই জীবনের পুরান-মধ্য-আধুনিকতা
সব কলোরব থেমে যায় একদা নিশ্চুপ প্রহরে
মৃত্যু, সমাপনী অনিবার্য সত্য-থাকে মহাকালে বিধৃত।