যুক্তরাজ্যে আর্ট ইন দ্য কমিউনিটি পুরস্কার পেলেন কবি শামীম আজাদ
প্রকাশিত : ১৭:২৩, ২৫ নভেম্বর ২০২০
যুক্তরাজ্যে আর্ট ইন দ্য কমিউনিটি পুরস্কার পেলেন কবি শামীম আজাদ। শিল্প-সাহিত্যের কল্যাণকর কাজে অনুদান দেওয়ার বড় প্রতিষ্ঠান দ্য ন্যাশনাল লটারি তাকে এ সম্মাননা দিয়েছে। পুরো যুক্তরাজ্য থেকে তালিকাভুক্ত ছয় হাজার জনের মধ্য থেকে ১৩ জনকে বিশেষ এ সম্মাননার জন্য চূড়ান্ত করা হয়। তাদের মধ্যে কবি শামীম আজাদ অন্যতম।
লকডাউনে নিয়মিত ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও চলমান করোনা সংকটে শামীম আজাদ কমিউনিটিগুলোর মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মনে করে অনলাইনে নানা রকম কাজ করেন। দেশ-বিদেশে নানা অনলাইন অনুষ্ঠানে মননশীলতার চর্চা ও মানসিক স্বাস্থ্য অটুট রাখতে নবতর পদ্ধতিতে শিল্প-সাহিত্য চর্চায় নিরলস কাজ করার জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
সম্মাননার অংশ হিসেবে নির্বাচিত ১৩ জনের স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্র মাসব্যাপি প্রদর্শন করবে ব্রিটেনের বৃহৎ আটটি আর্ট গ্যালারি ও প্রতিষ্ঠান। আটটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেও এ প্রদর্শনী চলবে। গ্যালারি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্য ন্যাশনাল পোট্টেট গ্যালারি, লন্ডন, দ্য ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ওয়েলস, কার্ডিফ, দ্য ম্যাক, বেলফাস্ট, আইকেওএন গ্যালারি বার্মিংহাম, সামারহল, এডিনবরা টাই পব, রেক্সহাম, রোথিন ক্রাফট সেন্টার রোথিন ওয়েলস, দ্য ফটোগ্রাফারস গ্যালারি, লন্ডন এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট। এই বিশিষ্ট জনদের পোট্রেটগুলো তুলেছেন ব্রিটেনের বিশ্বখ্যাত ফটোগ্রাফার ক্রিস ফ্লয়েড।
কবি শামীম আজাদ দ্বিভাষিক কবি ও লেখক এবং গল্পকথক। তার প্রকাশিত কাজ প্রায় ৩০টির বেশি। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ইত্যাদি। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আবাসিক কবি হিসেবে কাজ করছেন লন্ডনের বৃহৎ সাহিত্য সংগঠন এপেল অ্যান্ড স্নেইকসের সঙ্গে। গত বছর তিনি এথেন্স এগোরা পোয়েটিক রেসিডেন্সি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
কবি শামীম আজাদ ১৯৯১ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন। দীর্ঘ সময়ে ব্রিটেনের কমিউনিটিতে বিভিন্ন অবদানের জন্য তিনি সুপরিচিত মুখ। তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে লন্ডন এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশি পোয়েট্টি কালেক্টিভ- এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার। এছাড়া পূর্ব লন্ডনের শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার বৃহৎ প্রতিষ্ঠান রিচমিক্সের ট্রাস্টি এবং লন্ডনের এক্সাইল রাইটার্স ইঙ্ক এর নির্বাহি কমিটির সদস্য তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মারক বিজয়ফুল কর্মসূচির প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
আরকে/